ইংলিশদের কাছে বড় ব্যবধানে হারল বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক:

ওয়ানডে বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। যেখানে ইংলিশদের কাছে বড় ব্যবধানে হেরেছে টাইগাররা। এমন জয়ে টেবিলের তলানি থেকে পাঁচে উঠে এসেছে বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।

সোমবার ধর্মশালার হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ৩৬৪ রান করে ইংল্যান্ড। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৪৮.২ ওভারে ব্যাটিং ব্যর্থতায় সবকটি উইকেট হারিয়ে টাইগারদের ইনিংস থামে ২২৭ রানে। এতে ১৩৭ রানের বড় জয় পেয়েছে জস বাটলারের দল।

লক্ষ্য তাড়ায় বাংলাদেশের হয়ে যথারীতি ইনিংস উদ্বোধনে নামেন লিটন দাস ও তানজিদ হাসান তামিম। ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারেই রিস টপলির বলে জনি বেয়ারস্টোর তালুবন্দী হন তামিম। আউট হওয়ার আগে ১ রান করেন তিনি।

এরপর উইকেটে আসেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে রানের খাতা খোলার আগেই টপলির বলে লিভিংস্টোনকে ক্যাচ দেন এ বাঁ-হাতি ব্যাটার। দলের হাল ধরতে বাইশ গজে আসেন টাইগার দলপতি সাকিব আল হাসান। কিন্তু উইকেটে থিতু হওয়ার আগে সাজঘরে ফিরেছেন তিনিও।

এর পরেই উইকেট বিলিয়ে দেন মেহেদী হাসান মিরাজও। ম্যাচের ৯ম ওভারে ক্রিস ওকসের বলে জস বাটলারের তালুবন্দী হন তিনি।

নিয়মিত বিরতিতে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে টাইগাররা। তবে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ৬২ রানের জুটিতে প্রতিরোধ গড়ে তুলেন লিটন। একই সঙ্গে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১১তম ফিফটিও তুলে নেন টাইগার ওপেনার।

অবশ্য সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়ে ক্রিস ওকসের বলে বাটলারের তালুবন্দী হন লিটন। আউট হওয়ার আগে ৭৬ রান করেন এ ডানহাতি ব্যাটার।

পরে হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে দলীয় ইনিংস এগিয়ে নেন অভিজ্ঞ মুশফিক। ম্যাচের ৩০তম ওভারের তৃতীয় বলে এক রান নিয়ে ওয়ানডে ফরম্যাটে নিজের ৪৭তম ফিফটি করেন মুশি। অবশ্য ফিফটির ইনিংস লম্বা করতে পারেননি তিনি। আউট হওয়ার আগে ৫১ রান করেন তিনি।

ব্যাট হাতে আশা জাগিয়ে ইংলিশ বোলারদের বিপক্ষে লড়াই করছিলেন হৃদয়। কিন্তু তিনিও আক্ষেপ নিয়ে সাজঘরে ফিরেছেন। লিভিংস্টোনের বলে বাটলারের তালুবন্দী হন তিনি। এর আগে দুই বাউন্ডারিতে ৩৯ রান করেন হৃদয়।

এর পরেই রশিদের বলে বোল্ড হন শেখ মাহেদী। তার বিদায়ে ম্যাচ থেকে রীতিমতো ছিটকে যায় বাংলাদেশ। শেষ মুহূর্তে তাসকিন ও শরিফুলের ছোট্ট ক্যামিওতে টাইগারদের ইনিংস থামে ২২৭ রানে।

এদিন ইংলিশদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট শিকার করেছেন রিস টপলি। এছাড়া দুই উইকেট তুলে নিয়েছেন ক্রিস ওকস।

এর আগে টস জিতে ইংল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানান বাংলাদেশ দলপতি সাকিব আল হাসান। পরে ইংলিশদের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন জনি বেয়ারস্টো ও ডেভিড মালান। শুরু থেকেই দেখে খেলতে থাকেন দুই ওপেনার। ধীরে ধীরে আক্রমণের গতি বাড়ান তারা।

উদ্বোধনী জুটিতে ১১৫ রান যোগ করেন বেয়ারস্টো ও মালান। ভয়ংকর হয়ে ওঠা জুটি ভেঙে বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তি ফেরান সাকিব। তার দুর্দান্ত ডেলিভারিতে বোল্ড হন ৫২ রান করা বেয়ারস্টো। অবশ্য এর আগে ফিফটি পূরণ করেন মালান।

দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে আরো ভয়ংকর হয়ে ওঠে ইংল্যান্ড। যেখানে ব্যাটকে তলোয়ার বানিয়ে একেরপর এক বল বাউন্ডারির বাইরে পাঠাতে থাকেন মালান। দারুণ ব্যাটিংয়ে ইনিংসের ৩২তম ওভারে সেঞ্চুরির স্বাদ পান তিনি।

ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরির দেখা পেতে মালান খেলেন ৯১ বল। সেঞ্চুরির পর আরো আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন এ ব্যাটার, পরের ১৬ বলে করেন ৪০ রান। তবে ভয়ংকর হয়ে ওঠা এ ব্যাটারকে ফিরিয়ে ইংল্যান্ডকে আটকে ফেলার সূচনা করেন মাহেদী হাসান।

১৪০ রানে মালান ফেরার পর ৮২ রানে আউট হন জো রুট। এরপর আর কেউই ক্রিজে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। যেখানে বল হাতে আলো ছড়ান মাহেদী ও শরিফুল ইসলাম। এই দুজনের দারুণ বোলিংয়ে বড় স্কোর পায়নি ইংলিশরা।

বাকিদের মাঝে জস বাটলার ও হ্যারি ব্রুক দুজনই ২০ রান করেন। মাহেদী চারটি, শরিফুল তিনটি এবং তাসকিন আহমেদ ও সাকিব আল হাসান একটি করে উইকেট শিকার করেন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)