সন্তানের জেদ কমানোর কয়েকটি পদ্ধতি

লাইফস্টাইল ডেস্ক:

ছোট বলে জেন থাকবে না, তাকি হয়! জেদ করে না এমন সোনামনিদের দেখা যায় না। সামান্য হলেও জেদ থাকে। এটি ব্যক্তিত্বেরই অংশ। তবে কোনো কোনো সময় বিশেষ করে পাবলিক প্লেসে বাচ্চারা যদি জেদ ধরতে শুরু করে তখন সামলাতে গিয়ে হিমশিম খেয়ে যান অভিভাবকেরা।

বড়দের মতোই শিশুদেরও হতাশা, ক্ষোভ বা চাহিদা প্রকাশ করে জেদ বা ট্যানট্রামের মাধ্যমে। আমরা বড়রা যেভাবে নিজেদের এই অনুভুতিগুলো সম্বরণ করি যাকে সেল্ফ কনট্রোল বলে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে তা হয় না। আার তার ফলে তাদের আচরণে বাহ্যিক প্রকাশ ঘটে এইভাবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, তিন থেকে সাত বছরের বাচ্চাদের মধ্যে জেদ বা টেম্পার ট্যানট্রাম সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। এই সময়ে যদি সঠিকভাবে শিশুদের চালনা করা না যায় তাহলে আগামী দিনে অনেক সমস্যার সন্মুখীন হতে হবে, বিশেষ করে নেগেটিভ কোয়ালিটি বেড়ে যায় যা সে এবং তার পরিবারের ক্ষেত্রে মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়। তাই অভিভাবকদের জন্য রইল সেরা এই টিপস।

জেদ সামলানোর প্রাথমিক উপায় অভিভাবকদের মনকে শান্ত রাখতে হবে। প্রথম থেকেই যদি সন্তানদের জেদে লাগাম দেওয়া যায় তাহলে আপনার শিশুর বহু সমস্যার সমাধান হয় যাবে। কেউ কেউ জেদ সামলানোর জন্য যা চাইছে তা দিয়ে দেন, এতে সমস্যা আরও বেড়ে যায়। বরং আপনি যদি নিজেকে শান্ত রেখে শিশুকে সামলান তাহলে সমস্যা অনেকটাই মিটে যাবে।

​মনযোগ ঘোরানোর চেষ্টা করুন: সন্তান যখন জেদ করতে শুরু করবে তখনই তার মন অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করুন। সেই সময় বাচ্চাকে অন্যকিছুদিয়ে ভোলাবার চেষ্টা করুন। সন্তানের নিজেস্ব কিছু চাহিদা থাকতেই পারে তার মানে এই নয় যে যা বলছে তা দিয়ে দিতে হবে। এইভাবে সন্তানকে কন্ট্রোল করতে শুরু করলে সেল্ফ কন্ট্রোল বোধ তৈরি হবে। তখন সন্তানের আর কিছু চাহিদা থাকবে না।

​জেদ ধরলে বকাবকি করবেন না: সন্তানকে বকাবকি করবেন না। সন্তানের জেদ বা ট্যানট্রাম সামলানোর জন্য মারধোর বা বকাবকির প্রয়োজন নেই হয় না। বাবা-মার ধৈর্য বা পেশেন্স এবং বাকি সব সদস্যদের প্রতি একই ধরণের পজিটিভ পদ্ধতি মেনে চললে সমস্যায় পড়বেন না।

​ব্যক্তিত্বের উপর নজর রাখুন: জেদের সুত্রপাত হলে সন্তানকে আলাদা করে বসিয়ে রাখুন। তবে খেয়াল রাখবেন জায়গাটি যেন সুরক্ষিত থাকে, এই সময় সন্তানদের অভিমান খুব বেশি হয়ে যায়। তাই নিজেকে শান্ত ও গম্ভীর থাকার চেষ্টা করুন। খুব প্রয়োজন ছাড়া কোনো কথা বলবেন না সন্তানের সঙ্গে মারধোর বা বকাবকি একদমই নয়। সন্তান জেদের বশে যা করবে- তাকে কোনোভাবেই পাত্তা দেবেন না। দেখবেন ধীরে ধীরে জেদ কমে আসবে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)