বুধহাটায় বিদ্যুৎ পাইয়ে দেওয়ার নামে চাঁদাবাজি
আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নে বিদ্যুৎ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে ব্যাপক ভাবে চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেছে। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও কাঙ্ক্ষিত বিদ্যুৎ না পেয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে অঙ্গীকার ও জোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। সারাদেশে বিদ্যুতের পিছনে ছুটাছুটি নয় বরং বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন কাদের বিদ্যুৎ নাই তা খতিয়ে দেখে স্বপ্রনোদিত হয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বাস্তবায়নে নিরলস ভাবে কাজ করে চলেছেন। কিন্তু কোন কোন স্থানে একশ্রেণির দালালচক্র বিদ্যুৎ লাইনের ব্যবস্থা করে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধহাটা পূর্বপাড়ার বিদ্যুৎ বঞ্চিত পরিবারের মাঝে দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছে দিতে প্রলোভন দেখিয়ে চাঁদাবাজি করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হানেফ সরদারের স্ত্রী মনোয়ারা, মাছুম গাজীর পুত্র নুরুজ্জামান, সুভাস বিশ্বাসের পুত্র বিশ্বজিৎ, রহিম বক্সের পুত্র আমিনুরসহ মহব্বত, আঃ হাই, আছাফুর, ওমর আলি, উত্তম, হাকিম, ডাঃ দীপঙ্কর ওরফে খোকাসহ এলাকার অনেকের নিকট থেকে একই গ্রামের মোকছেদ সরদারের পুত্র আতিকুল প্রায় ৯ মাস আগে ৪ শত টাকা হতে ৩ হাজার টাকা করে আদায় করেন বলে তারা জানান। দীর্ঘ ৯ মাস অতিক্রান্ত হলেও বিদ্যুৎ না পেয়ে তারা সমবেত হয়ে সাংবাদিকদের কাছে তার বিরুদ্ধে জবানবন্দি দিয়ে প্রতিকার প্রার্থনা করেছেন।
একই ভাবে মধ্যম চাপড়া পূর্বপাড়ার ৫০ জনের নিকট থেকে ৫০০ টাকা হতে ২০০০ টাকা পর্যন্ত মোট ৩৫০০০ টাকা আদায় করা হয়েছে। টাকা দিয়েও বিদ্যুৎ না পেয়ে এলাকার লোকজন বিষয়টি নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিমের কাছে অভিযোগ করলে তিনি ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন এবং আরিফুল ইসলামকে পাঠিয়ে আলিমকে তলব করেন। সেই থেকে আলিম গা ঢাকা দিয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে বলে আরিফুল সাংবাদিকদের জানান। এদিকে দক্ষিণ চাপড়ার রসুল, আরিকুল, বিল্লালসহ ৫/৭ জনের কাছ থেকে ২২ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে একই গ্রামের মনিরুলের বিরুদ্ধে। এব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান আবম মোছাদ্দেকের সাথে কথা বললে তিনি জানান, বিদ্যুৎ পাইয়ে দিতে চাঁদাবাজি অনেক এলাকায় হচ্ছে। শে^তপুর, বেউলা, চিলেডাঙ্গা গ্রামে ব্যাপক চাঁদাবাজি হয়েছে। প্রয়োজনীয় টাকা না পাওয়ায় সেখানে লাইন পৌছেনি। বেউলায় মালামাল আসলেও ঠিকাদার টাকা না পেয়ে মালামাল নামায়নি বলে তিনি জানান। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সাতক্ষীরা (আশাশুনি) এজিএম জানান, পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে কেউ চাঁদাবাজি করলে কিংবা ঠিকাদার কারো কাছে টাকা চাইলে সাথে সাথে থানায় সোপর্ধ করতে সকলকে অনুরোধ জানাচ্ছি। পল্লী বিদ্যুতের চেয়ারম্যান স্যার এব্যাপারে কঠোর ভাবে হুঁশিয়ারী করে দিয়েছেন।