আশাশুনিতে মনসা প্রতিমা ভাঙচুর,নাবালক হওয়ায় আইনি জটিলতায় ভাংচুরকারিরা মুক্ত

রঘুনাথ খাঁ:

শনিবার দুপুর ১২টার দিকে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের কদমতলা বাগানবাড়ি বাবা তারকনাথ ধাম মন্দিরের মনসা প্রতিমা ভাঙচুর এর কথা স্বীকার করলেও নাবালক হওয়ায় তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। শনিবার বিকেলে বড়দল ইউনিয়ন পরিষদে আলোচনা সাপেক্ষে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ।

মুক্তি পাওয়া প্রতিমা ভাঙচুর কারিরা হলেন, আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামের সাদেক হোসেনের মেয়ে ও তুয়ারডাঙা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী সাদিয়া খাতুন ও একই গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে ঢাকার একটি মাদ্রাসায় পড়ুয়া নূরে আলম।

আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ অধিকারী শনিবার রাতে এ প্রতিবেদককে জানান, কদমতলা বাগানবাড়ি বাবা তারকনাথ ধাম মন্দিরের মধ্যে অবস্থিত মনসা প্রতিমাটি খেলা দেখাচ্ছি মর্মে সাদিয়াকে ডেকে নিয়ে শনিবার দুপুর ১২টার দিকে দা দিয়ে কুপিয়ে ভাঙচুর করে মাদ্রাসা ছাত্র নূরে আলম(১১)। তাঃক্ষণিক খবর পেয়ে পুলিশ ওই দু’জনকে হেফাজতে নিয়ে বড়দল ইউপি চেয়ারম্যান জগদীশ সানা, খাজরা ইউপি চেয়ারম্যান শাহানেওয়াজ ডালিম, উপজেলা ভাইস চেয়ারমান ও হিন্দু নেতা অসীম বরণ চক্রবর্তীর সঙ্গে কথা বলে পুলিশ পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম বড়দল ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যান। পরে প্রতিমা ভাঙচুরকারিরা নাবালক ও নেপথ্যে কোন পরিকল্পনার বিষয়টি উদঘাটন না হওয়ায় পরিষদে উপস্থিত হিন্দু ধর্মালম্বী নেতা, দুই জন ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া নাবালকদের মামলা দেওয়া নিয়ে রয়েছে আইনগত জটিলতা। তবে এ ঘটনার তদন্ত চলমান থাকবে। সেখানে কোন পরিকল্পনাকারির নাম প্রকাশ পেলে তার বিরুদ্ধে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কদমতলা বাগানবাড়ি বাবার ধাম পরিচালনা কমিটির সভাপতি বিশ্বনাথ মন্ডল জানান, প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা যা করেছেন তার বাইরে আর কি করার আছে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)