বসত বাড়ি ও চাষাবাদী জমি বাদ রেখে নদীর বেড়িবাঁধ নির্মাণের অভিযোগ

এস,কে হাসান:
আশাশুনি উপজেলার সদর ইউনিয়নের দয়ারঘাটে বসত বাড়ি ও চাষাবাদের জমি নদীর ভেতরে রেখে পাউবো’র বেড়িবাঁধ নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে । এবিষয়ে প্রতিকার প্রার্থনা করে শনিবার আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ করেছেন ভুক্তোভোগী এলাকাবাসী।

জানা গেছে, ১৯৯৫ সালে বলাবাড়িয়া ওয়াপদা বাঁধ ভেঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। ওই সময় মানুষের জীবনে নেমে আসে চরম বিপর্যয়। এক যুগেরও অধিক সময় ওয়াপদার বাঁধ নির্মাণ না হওয়ায় ভাঙ্গনকুলের সন সন বন্যায় মানুষ মানবতার জীবন—যাপনে বাধ্য হয়। এক পর্যায়ে আশাশুনির বাহিরের এক ব্যক্তিকে ৫ বছর কোনো হারি দেওয়া হবে না শর্তে বাঁধ নির্মাণ করা হয়। বাধের ধারের মানুষের দুঃখ—দূর্দশা লাঘবের জন্য আশাশুনি দক্ষিণ পাড়ায় জেলে পাড়ার নিমাই মন্ডলের বাড়ি হতে দক্ষিণ দিকে সুনীল মন্ডলের বাড়ি পর্যন্ত আনুমানিক ৫৯৮ মিটার নতুন বাঁধের নকশা হয়। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে পানি উন্নয়ন বোর্ড উক্ত সিডিউল পরিবর্তন করে টেকসই ওয়াপদা বাঁধের সংলগ্ন স্থান হতে পশ্চিম দিকে আনুমানিক আধা কিলোমিটার দুরে বলাবাড়িয়া ভাঙ্গা বিলের ঘের এর পুরাতন বাঁধ সংস্কার হচ্ছে। ফলে বসতবাড়ি ও চাষের জমি বাদ পড়ছে এবং ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে পঞ্চরাম মন্ডলের পরিবার সহ কয়েকটি পরিবার। জানাগেছে, পুরাতন ভেড়ী বাঁধ থেকে বাঁধ না করে ৭০০—৮০০ ফুট বাদ দিয়ে বাঁধ করা হচ্ছে। এব্যাপারে ১৬ জন এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরেজমিনে তদন্ত করে নদীর পার্শ দিয়ে নতুন বাঁধ নির্মানের দাবী জানিয়েছেন।

আশাশুনি সদর ইউপি চেয়ারম্যান এস এম হোসেনুজ্জামান বলেন, দয়ারঘাটে প্রায় ২৮ বছর কোন বেড়িবাঁধ না থাকার কারণে নিদিষ্ট জায়গাটা অনেক গভীর হয়ে যাওয়ায় সেই জায়গা দিয়ে বেড়িবাঁধ করা সম্ভব হচ্ছে না । যে কারণে স্থানীয়দের সাথে সমন্বয় করে পূর্বের যে রিংবাঁধ ছিল তার উপর দিয়ে বেড়িবাঁধ করা হচ্ছে। সেখানে দীর্ঘ ২৮ বছর পর বেড়িবাঁধ পেয়ে এলাকার মানুষ মিষ্টি বিতরণ করেছে বলে জানান তিনি।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসডি মেহেদী হাসান মিশুক বলেন, তারা যে অভিযোগটা করেছে অভিযোগটা সত্য । যে বরাদ্দ এসেছে সেই বরাদ্দ অনুযায়ী জায়গায় একোয়ার করার কোন সুযোগ নাই। এলাকাবাসীর কথা মাথায় রেখে স্থানীয় চেয়ারম্যান এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে কথা বলে রিংবাঁধের উপর দিয়েই বেড়িবাঁধ করা হচ্ছে। এটা নিয়ে যদি কোন অভিযোগ হয় তাহলে কাজ বন্ধ করে দিতে হবে বলে জানান তিনি।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)