তালায় স্বামী কতৃক ৪ সন্তানের জননীকে বেধড়ক মারপিট

জহর হাসান সাগর :তালার সুজনশাহা গ্রামের ৪ সন্তানের জননী প্রথম স্ত্রীকে যৌতুকের দাবিতে বেধড়ক মারপিট করে মারাতœক ভাবে আহত করার অভিযোগ উঠেছে স্বামী গ্রাম ডা:কায়ুম শেখের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ভুক্তভোগীর ভাই।ঘটনার বিবরণে জানাযায়, প্রায় বিশ বছর আগে তালার সুজনশাহা গ্রামের মৃত.ডা: মোজাম্মেল হকের ছেলে গ্রাম ডা: কায়ুম শেখের সহিত ডুমুরিয়া কাঞ্চনপুর গ্রামের সামাদ শেখের মেয়ে আয়শা বেগম(৩৭) এর বিবাহ হয়। বিবাহর পর হতে স্বামী তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে প্রতিনিয়ত শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করে আসছিল আয়েশা কে। এর মধ্য তাদের সংসারে ৪ সন্তান জন্মলাভ করে। সন্তান জন্মলাভের পর হতে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যেতে থাকে। তাদের পরিবারের প্রথম কন্যা সন্তানের বয়স ১৮ হলেও থামেনি নির্যাতনের মাত্রা। তারই ধারাবাহিকতায় স্বামী গত তিন বছর আগে প্রথম স্ত্রী আয়েশা বেগমের বিনাঅনুমতিতে দ্বিতীয় বিবাহ করেন।দ্বিতীয় বিবাহ করার পরে প্রথম স্ত্রী এর কাছে যৌতুকের দাবি করাসহ নানান অজুহাতে প্রায় মারপিট করেন স্বামী কায়ুম শেখ। সর্বশেষ ২ ফেব্রুয়ারী(শুক্রবার) সকালে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রথম স্ত্রীকে বেধড়ক মারপিট করে মারাতœক ভাবে আহত করেন স্বামী কায়ুম শেখ। এবং মারপিটের পরে প্রথম স্ত্রীকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করে বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শন করেন। এসময় আয়েশা বেগমের বাপের বাড়ি হতে ভাইয়েরা তাকে চিকিৎসা করানোর জন্য আসলে সেখানে বাঁধা প্রদান করেন স্বামী কায়ুম শেখ। এমতবস্থায় প্রথম স্ত্রীর এর ভাইয়েরা স্থানীয় সাংবাদিকদের খবর দিলে কায়ুম শেখ ঘটনাস্থল পরিত্যাগ করেন। পরে ভাইয়েরা আয়েশা বেগম কে নিয়ে তালা হাসপাতালে ভর্তি করেন। বেধড়ক মারপিটের ফলে আয়েশা বেগমের হাত ভেঙ্গে যাওয়ার উপক্রম সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফোলা জখম হয়েছে।

ভুক্তভোগী আয়েশা বেগম বলেন, বিবাহের পর হতে স্বামী প্রতিনিয়ত যৌতুকের দাবিতে শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করত। তারই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার আমাকে বাশের লাঠি দিয়ে অমানুষিক মারপিট করে মারাতœক ভাবে আহত করেন। আমি আর সহ্য করতে না পেরে আমার বাপের বাড়ি লোকজনকে জানিয়েছি।

স্বামী কায়ুম শেখ মোবাইল ফোনে প্রথম স্ত্রী আয়েশা বেগমকে মারপিট করার কথা স্বীকার করে বলেন, আমার প্রথম স্ত্রী আমার মায়ের সাথে খারাপ ব্যবহার করায় তাকে কয়েকটি চড় থাপ্পড় মেরেছি।আমি তাকে চিকিৎসা সেবা দিতে কোন প্রকার বাঁধা প্রদান ও কোন প্রকারের যৌতুকের দাবি করিনি।

ভুক্তভোগীর ভাই হাবিবুর রহমান বলেন, প্রায় প্রতিনিয়ত আমার বড় বোন আয়েশাকে বোনাই যৌতুকের দাবি ও ছোটখাটো বিষয় পারিবারিক কলহ বাধিঁয়ে মারপিট করেন। এর আগেও কয়েকবার পারিবারিক ভাবে মীমাংসা করেছি। কিন্তু এবার আমার বোনকে এতটা অমানুষিক ভাবে মারপিট করে মারাতœক ভাবে আহত করেছে। আমরা ভাই হয়ে তার এমন অমানুষিক নির্যাত সহ্য করতে না পেরে বোন চিকিৎসা প্রদান করাসহ থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: শামিমা আক্তার জানান, ভুক্তভোগী শরীরে ফোলা জখমের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। আর হাত ভেঙ্গেছে কিনা তার জন্য এক্সরে করার জন্য বলেছি। বর্তমানে ভুক্তভোগী আয়েশা তালা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)