খাজরায় আখ চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে কৃষকরা

জি এম মুজিবুর রহমান: আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নে বাংলাদশের অর্থকরী ফসল হিসেবে পরিচিত আখ চাষে দিন দিন আগ্রহ হারাচ্ছে স্থানীয় কৃষকরা। খরচের তুলনায় আয় কম হওয়ায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে বলে কৃষকরা মনে করেন।বৃহস্পতিবার(১১ জানুয়ারী) বিকালে খাজরা গ্রামের দুজন কৃষকের ক্ষেতে স্থানীয় সাংবাদিকরা পরিদর্শনে গিয়ে জানতে পারেন, সেখানে কয়েক বিঘা জমিতে রোপন করা হয়েছে আখের কলম বা চারা গাছ। সারি সারি দুপাশে আইল করে মাঝখানে দুই তিনটা করে পাতা গজিয়েছে চারা আখের। সাথে সাথে আইলের উপর বেগুন, টমেটোসহ লাগানো হয়েছে মৌসুমী সবজি গাছ। আখ গাছের পূর্ন বয়স হওয়ার আগে এসব মৌসুমী সবজির ভাল ফলনও পাচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরা। বছর দশেক আগেও খাজরা, পিরোজপুর, খালিয়াসহ কয়েকটি গ্রামে আখের চাষ হতো চোখে পড়ার মত। এখন শুধুমাত্র খাজরা গ্রামের চার পাঁচজন চাষীকে আখের চাষ করতে দেখা যায়। তাদেরও লোকসান বা লাভ কম হওয়ায় আখ চাষে আগ্রহ কমে যাচ্ছে।
খাজরা গ্রামের আখ চাষী মুনসুর সরদার বলেন, আমি প্রায় ৭বছর ধরে নিয়মিত আখ চাষ করে যাচ্ছি। এবছর প্রায় দুই বিঘা জমিতে আখের চাষ করেছি। আমার প্রতি বিঘা জমিতে চাষ, আইল তৈরীর জন্য শ্রমিক লাগানো, আখের চারা ক্রয়, কীটনাশকসহ আনুষাঙ্গিক খরচ সব মিলে ৫০হাজার টাকা খরচ হবে। যদি ভাল ফলন হয় তবে বাজার মূল্য হিসেবে ১লক্ষ টাকার মত বিক্রি হবে। তিনি আরও আরো জানান, প্রায় বছর আমরা প্রাকৃতিক ক্ষতির মুখে বেশি পড়ি। সে সময় আমাদের লোকসান গুনতে হয়।
আরেক আখ চাষী আনিসুর রহমান জানান, আমিও কয়েক বছর আখ চাষ করছি। আমাদের বড় সমস্য আমরা প্রান্তিক আখ চাষিরা সরকারি কৃষি প্রনোদনার কোন অংশ পাই না। নানা কারনে খাজরা ইউনিয়নের দিন দিন কমে যাচ্ছে আখ চাষির সংখ্যা। নানা প্রতিকূলতা কাটিয়ে এ অঞ্চলের চাষিরা আবারও আখ চাষে আগ্রহ বৃদ্ধি হোক এমন দাবি করেছেন গ্রামবাসী।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)