বজ্রপাতে ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারের করুণ মৃত্যু

স্পোর্টস ডেস্ক:
কাই হেনরিক নামে ২১ বছর বয়সী এক ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার বজ্রপাতে মারা গেছেন। এ সময় আরও ৬ ফুটবলার আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে ব্রাজিলের পারানা রাজ্যের সান্তো আন্তোনিও দা প্লাতিনা শহরে।

নিহত ও আহত ফুটবলাররা অপেশাদার একটি ফুটবল টুর্নামেন্টে খেলছিলেন। সবাইকে সান আন্তোনিওর মিউনিসিপ্যাল হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও কাইও হেনরিককে বাঁচানো যায়নি।

পারানা শহরের হোসে এলুতেরিও স্টেডিয়ামে গত রোববার স্থানীয় সময় বিকেলে এই ঘটনা ঘটেছে। সে সময় ইউনিদোস দে সান্তো আন্তোনিও দা প্লাতিনা ও ইউনাইও জাপিরেনসের মধ্যে ম্যাচ চলছিল। আঞ্চলিক অ্যামেচার ফুটবল কাপের প্রথম পর্বের ম্যাচ ছিল এটি।

ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে বজ্রপাতের সময় প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছিল। বজ্রপাতের কয়েক মিনিট পরের মুহূর্তের ভিডিও ধারণ করেছিলেন এক দর্শক। সেখানে দেখা যায় জাপিরেনস দলের খেলোয়াড়েরা মাঠেই শুয়ে পড়েছেন ও সাহায্য নিচ্ছেন।

গ্লোবোর প্রতিবেদনে প্রকাশ করা ভিডিওটি সেই সমর্থকের কি না, তা জানা যায়নি। তবে প্রতিবেদনের সঙ্গে সংযুক্ত ভিডিওতে দেখা গেছে, কয়েকজন খেলোয়াড় মাঠে পড়ে আছেন এবং তাদের ধরাধরি করে মাঠের বাইরে নেয়া হচ্ছে।

এদিকে সান্তো আন্তোনিও দা প্লাতিনা মিউনিসিপ্যাল ক্রীড়া পরিচালক মার্কোস নোভেলি ফেরেইরা এ নিয়ে বলেছেন, ‘ভারী বৃষ্টি হচ্ছিল। তবে মাঠ খেলার মতো অবস্থায় ছিল। আঁধার হয়ে এসেছিল চারপাশ। কিন্তু বজ্রপাতের সময় চারপাশ আলোকিত হয়ে উঠেছিল।’

এরপর তিনি বলেন, ‘মনে হয়েছিল এটা (বজ্রপাত) অন্য কোথাও হবে। কিন্তু বজ্রপাতে প্রাণঘাতী ব্যাপার ঘটে গেল। আমরা আলোর আভা দেখতে পেয়েছিলাম… খেলোয়াড়েরা তখন মাঠে খেলছিলেন, বজ্রপাত সরাসরি একজনের ওপর পড়েছে।’

মার্কোস নোভেলি আরো জানিয়েছেন, স্টেডিয়ামে কোনো অ্যাম্বুলেন্স ছিল না। ম্যাচটি দেখতে আসা লোকজন কয়েকজন খেলোয়াড়কে নিজেদের গাড়িতে করে মিউনিসিপ্যাল হাসপাতালে নিয়ে যান। বাকিরা ব্রাজিলের জরুরি স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজনের আসার অপেক্ষায় ছিলেন।

ইউনাইও জাপিরেনস পারানা রাজ্যেরই জাপিরা শহরের দল। সেখানকার নগর কর্তৃপক্ষ এবং ক্লাব কাইও হেনরিকের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)