পুণ্যস্নানকে ঘিরে শেষ হল কুয়াকাটার রাসমেলা
নিউজ ডেস্ক: পুণ্যস্নানের মধ্য দিয়ে পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় শেষ হয়েছে রাস উৎসব। সোমবার ভোরে জাগতিক সব পাপ মোচনের আশায় সৈকতের নোনা জলে গাঁ ভাসিয়ে এ গঙ্গাস্নান সম্পন্ন করেন হিন্দুধর্মালম্বীরা। দুইশ বছর ধরে প্রতিবছরের ন্যায় পূর্ণিমার তিথিতে সুন্দরবনের দূর্বারচর অঞ্চলে রাসমেলা আয়োজন করা হয়। মেলা উপলক্ষে হিন্দু পুণ্যার্থীদের পাশাপাশি হাজার হাজার মানুষের কুয়াকাটায় আগমন ঘটেছ। রাসমেলা ও সৈকতে পুণ্যস্নানকে ঘিরে কুয়াকাটা রাস উদযাপন কমিটিকে সব ধরনের সহায়তা দিয়েছেন জেলা প্রশাসন, পৌরসভা, ট্যুরিস্ট পুলিশসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান। ভক্তদের পাপ ও রোগমুক্তির আশায় সমুদ্রস্নান ও পূজা অর্চনা আর প্রতিমা দর্শনে পুণ্যার্থীদের সমাগম ঘটেছে কুয়াকাটায়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্নানের আগে সৈকতে মোমবাতি, ধুপ, বেলপাতা, ফুল, ধান, দুর্বা, হরিতকী, ডাব, কলা, তেল ও সিঁদুর সমুদ্রে জলে অর্পণ করে সনাতনী নারীরা। এ সময় উলুধ্বনি ও মন্ত্রোপাঠে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো সৈকত জুড়ে। এছাড়া মাথান্যাড়াসহ প্রায়শ্চিত্ত ও পিণ্ডদান করেন অনেক মানতকারীরা। পরে ১৭ জোড়া যুগল প্রতিমা দর্শন করেন হিন্দুধর্মালম্বীরা।
কুয়াকাটায় শ্রী শ্রী রাধা কৃষ্ণ মন্দির ও তীর্থযাত্রী সেবাশ্রমের সাধারণ সম্পাদক নিহার রঞ্জন মন্ডল বলেন, প্রায় ২০০ বছরের আগে থেকেই এ রাস পূজা ও রাস উৎসব উদযাপন করে আসছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। এরই ধারাবাহিকতায় গঙ্গাস্নান বা পুণ্যস্নানের মধ্য দিয়ে রাস পূজা শেষ হয়েছে।
রাসমেলা উপলক্ষে কলাপাড়া উপজেলা প্রশাসন, পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন থেকে সব নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল। সাদা পোশাকে পুলিশ-র্যাব সদস্যরা অবস্থান করছিল।
20
