সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের কৈখালী স্টেশন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নির্মাণধীন ভবনের সিমেন্ট চুরি করে বিক্রয়ের অভিযোগ

রঘুনাথ খাঁ:
পশ্চিম বনবিভাগের সাতক্ষীরা রেঞ্জের কৈখালি ষ্টেশন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নির্মাণাধীন ভবনের সিমেন্ট চুরি করে বিক্রয় করার অভিযোগ উঠেছে।  সোমবার সন্ধ্যায় শ্যামনগরের হরিনগর ট্রলারঘাট থেকে ২ টি ট্রলার সহ ১০০ ব্যাগ সিমেন্ট আটক করে জনতা।

স্থানীয়ওরা জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারেন যে কৈখালি ষ্টেশনের আওয়াতায় টেংরাখালি বনটহল ফাঁড়ির নতুন ভবন নির্মাণের কাজ চলমান আছে। এই কাজের দেখভলের দায়িত্ব পান কৈখালি ষ্টেশন কর্মকর্তা সাদ আল জামির। তিনি তার ষ্টেশনের ব্যাবহারিত একটি ট্রলার ও ভাড়াটে একটি ট্রলারে করে ১০০ ব্যাগ ফাইভ রিং সিমেন্ট হরিনগর বাজারে চুরি করে বিক্রয় করার জন্যে নিয়ে আসছেন। সোমবার (১০ জুলাই) সন্ধ্যায় ২ টি ট্রলার সহ ১০০ ব্যাগ সিমেন্ট নিয়ে বনবিভাগের সিপিজির সদস্য ইউনুছ আলীর মধ্যেমে হরিনগর বাজারের নৌ ঘাটে এসে রাখে। এবং সেখান থেকে শ্রমিক দিয়ে মেসার্স বিসমিল্লাহ ট্রেডার্স হরিনগর বাজারে প্রোপাইটার মোঃ সাইফুল্লাহ (টুটুলের) দোকানে সিমেন্টের বস্তা ঢুকাতে থাকে। এসময় সকলের প্রচেষ্টায় সিমেন্টের বস্তাগুলো আটক করে শ্যামনগর থানায় জানানো হয়। পুলিশ আসার আগে বনবিভাগের ট্রলারে আসা  বোট মাঝি ও সিপিজির সদস্য ইউনুছ আলী কৌশলে ট্রলার রেখে পালিয়ে যায়। সিপিজির সদস্য ইউনুছ আলীর সাথে কথা বলে জানা যায়, কৈখালি ষ্টেশনকর্মকর্তা সাদ আল জামিরের নির্দেশে টেংরাখালি ফাঁড়ি থেকে ১০০ ব্যাগ সিমেন্ট হরিনগর বাজারে বিক্রয় করার জন্যে নিয়ে আসেন। এছাড়া  তিনি আর কিছু জানেন না। সিমেন্ট বহন কারি শ্রমিকরা জানান, সিপিজির সদস্য তাদের ঠিক করে বলে টেংরাখালি ফাঁড়ি থেকে ১০০ ব্যাগ সিমেন্ট হরিনগর বাজারে নামিয়ে দিতেহবে। মেসার্স বিসমিল্লাহ ট্রেডার্স হরিনগর বাজারে প্রোপাইটার মোঃসাইফুল্লাহ (টুটুল) বলেন, ভেটখালি বাজারের ব্যাবসায়ী ইয়াছিন তাকে এই সিমেন্ট ঠিক করে দেয়। তিনি ৫৩০ টাকা প্রতি ব্যাগ কিনতে রাজী হন। কারানিয়ে আসছে আসবে তা তিনি জানেন না। তবে ইয়াছিন তাকে বলেন ১০০ ব্যাগ ফাইব রিং সিমেন্ট বোটে করে নিয়ে তার দোকানে তুলে দেওয়া হবে। এ ছাড়া তিনি আর
কিছু জানেন না।

কৈখালি ষ্টেশন কর্মকর্তা সাদ আল জামির বলেন, এসিএফ স্যার তার কাজের দায়িত্বে দিয়েছেন। তাই ফাইব রিং সিমেন্টর মান ভালো না থাকায় পরিবর্তন করতে পাঠিয়েছেন। বিক্রয় করা হচ্ছে কেন জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তোর দিতে পারেননি। সাতক্ষীরা রেন্জ কর্মকর্তা কে এম ইকবল হোসেন চৌধুরি বিষয়টা অস্বীকার করে বলেন, সিমেন্ট পরিবর্তন করা বা বিক্রয় করার বিষয় তিনি জানেন না। বনবিভাগের কোন সদস্য এধারনের কাজ করতে পারে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন এটা করবে ঠিকাদার, তাদের কোন স্টাফ করতে পারে না। যদি এ ধারনের কাজ করে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া কৈখালি ষ্টেশন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সুন্দরবনের দায়িত্ব পালনে অনিয়মের অভিযোগ ও রয়েছে।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম বলেন, খবর পেয়ে উপপরিদরশক সেলিম রেজাকে পাঠিয়ে মাল জব্দ করা হয়েছে।।তদন্ত  করে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)