ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’: জনপ্রিয় কফির নামে কেন এ নাম
অনলাইন ডেস্ক:
বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হতে পারে। ইয়েমেন সম্ভাব্য এ ঘূর্ণিঝড়টির নাম দিয়েছে ‘মোখা’। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ের নাম কেন দেয়া হয়েছে বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় এক কফির নামে? তা নিয়ে অনেকের মাঝে কৌতূহলের শেষ নেই।
বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে রোববার (৭ মে) একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যা পরবর্তীতে ঘনীভূত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী, বিভিন্ন ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করে বিভিন্ন দেশ। যেমন এর আগে উপকূলে আঘাত হানা ‘সিত্রাং’ ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করেছিল থাইল্যান্ড। তেমনই ‘মোখা’ নামটি দিয়েছে ইয়েমেন।
যদিও ‘মোখা’ শব্দের আক্ষরিক কোনো অর্থ নেই। ইয়েমেনের বন্দর শহর ‘মোখা’র নামে ঘূর্ণিঝড়ের এ নামকরণ করা হয়েছে।
১৯ শতক পর্যন্ত মোখা ছিল ইয়েমেনের রাজধানী সানার প্রধান বন্দর। এ শহর থেকেই সারা বিশ্বে বিখ্যাত কফি ‘মোখা’ রফতানি করা হতো। কফির নামকরণও হয়েছে শহরের নামেই। বহু বছর ধরে মোখা বন্দর দিয়ে দেশ-বিদেশে ‘মোখা’ কফি রফতানি করা হতো।
বিশ্বের বিভিন্ন আবহাওয়া মডেল পর্যবেক্ষণ করেন কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ।
তিনি জানান, ইউরোপীয় মডেল অনুসারে ১২ মে দুপুর ১২টার পর কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম উপকূলে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড়টি। তবে আবহাওয়ার আমেরিকা মডেল বলছে, ১৩ মে দুপুর ১২টার পর উত্তর চট্টগ্রাম, নোয়াখালী ও ভোলা জেলার উপকূল দিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে।