হজরত খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (র.) এঁর ১৪৯ তম জন্মবার্ষিকী

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি :

অবিভক্ত বাংলা ও আসামের শিক্ষা বিভাগের সহকারী পরিচালক (১৯২৪-২৯), বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, শিক্ষা ও সমাজ সংস্কারক, সাহিত্যিক, দার্শনিক খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (র.) এঁর ১৪৯ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সাতক্ষীরায় সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে সাতক্ষীরার নলতা পাক রওজা শরীফ প্রাঙ্গণে কেন্দ্রীয় আহছানিয়া মিশনের সভাপতি ও সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডাঃ আ.ফ.ম রুহুল হকের সভাপতিত্বে উক্ত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক ও ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের এমিরেটাস বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন।

প্রধান আলোচকের বক্তব্য রাখেন, ঢাকা বিশ^ বিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. কে এম সাইফুল ইসলাম ও খানাহাদুর আহ্ছানউল্লা ইন্সটিটিউট এর মহাপরিচালক এ এফ এম এনামুল হক। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, কালিগঞ্জ মহাবিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক গাজী আজিজুর রহমান।

খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা ইন্সটিটিউট এর পরিচালক মনিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শওকত আরা হোসেন, নলতা কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশনের সাবেক সভাপতি আলহাজ্জ মুহাম্মদ সেলিমউল্লাহ, কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রহিমা সুলতানা বুশরা প্রমূখ।
এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লরা হাজারো ভক্তরা।

প্রধান অতিথি এ সময় বলেন, বহুমাত্রিক মানব ছিলেন খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (র.)। তিনি একাধারে সুফি-সাধক, সাহিত্যিক, দার্শনিক ও সমাজ সংস্কারক ছিলেন। পাশাপাশি সকল মানুষকে ভালো বেসেছেন, ধর্ম প্রচার করেছেন। তিনি আরো বলেন, হাদীসে আছে প্রত্যেক নর-নারীর জন্য জ্ঞান অর্জন করা ফরজ। খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (র.) সবসময় জ্ঞানের সন্ধানে ঘুরে বেড়িয়েছেন। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় তার অবদানের কথা ভুলবোনা।

মানুষ যদি একমাত্র সত্যকে অনুসন্ধান করে তাহলে তিনি পথভ্রষ্ট হবেন না। হজরত খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (র.) ¯্রষ্টার এবাদত ও সৃষ্টের সেবার জন্য কাজ করেছেন, সমাজ সংস্কারে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি কখনও দলাদলি, বিশৃঙ্খলা পছন্দ করতেন না। আর এখন দেশে দলাদলি, বিশৃঙ্খলা লেগেই আছে। যারা ক্ষমতায় আছে তারা ক্ষমতা আরো দীর্ঘ করতে চায়।

আর যারা ক্ষমতায় নেই তারা দ্রæত ক্ষমতায় যেতে চায়। এসব রাজনীতির মধ্যে পড়ে না। খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (র.) বাতিঘর হিসেবে কাজ করেছেন। একজন আদর্শ নেতার মত সবকিছু সামনে থেকে সফলভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাই আমরা যদি তাকে ভালোভাবে ধারণ করতে পারি সে অনুযায়ী চলতে পারি এবং এমন ধরনের সেমিনারে নারীসহ সকল ধর্মের মানুষকে সম্পৃক্ত করতে পারি তাহলে সমাজ তথা দেশ অনেক উপকৃত হবে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)