তালায় অবৈধ ম্যানেজিং কমিটির ম্যাধমে নিয়োগ বাণিজ্য 

তালা প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ধানদিয়া বহুমূখী বিদ্যালয়ে অবৈধ ম্যানেজিং কমিটির ম্যাধমে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। বৈধ ম্যানেজিং কমিটি ছাড়া চতুর্থ শ্রেণীর ৩ কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়,চতুর্থ শ্রেণীর ৩ কর্মচারীর নিয়োগে প্রায় ৩০-৩৫ লক্ষাধিক টাকার নিয়োগ বাণিজ্য হয়। নিয়োগ প্রাপ্ত নিরাপর্তা কর্মী নাহিদ হাসান, আয়া পদে শরিফা বেগম ও পরিচ্ছন্নকর্মী পদে আব্দুর রহিমের নাম চূড়ান্তভাবে ঘোষণা করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আরিফুল ইসলাম মিলন জানান,চলতি বছরে বিদ্যালয়ে কোন প্রকার অভিভাবক সদস্যের মতমত ছাড়াই গোপনে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ঘোষনা করা হয় ।
এরপর অগঠনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সভাপতি ঘোষনা করলে তার বৈধতা জানতে চেয়ে সাতক্ষীরা দেওয়ানী আদালতে একটি মামলা করি। মামলা নং-৭৪/(২২)। সুষ্ঠ তদন্তের দাবীতে খুলনা বিভাগীয় শিক্ষা কর্মকর্তাসহ জেলা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এবং যশোর মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডে  লিখিতভাবে অভিযোগ করেন তিনি।
বিভাগীয় কর্মকর্তা অভিযোগের তদন্তের নির্দেশনা জেলা ও উপজেলা কর্মকর্তাকে দিলেও অদৃশ্য কারনে তার প্রতিকার মেলেনি। পরবর্তীতে ঘটনাটি আড়াল করে চলতি বছরের ১৬জুলাই স্থানীয় পত্রিকায় বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেনীর ৩টি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তার ধারাবাহিকতায় ৩ পদে অবৈধ প্রক্রিয়া নিয়োগ দেওয়া হয়।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য  (বিদ্যুৎসাহী) আবুল খায়ের জানান, বর্তমান সভাপতির পদত্যাগ নিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগসহ মামলা চলমান। কোনভাবেই বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারে না।  গোপনে ৩ পদে ৩০-৩৫ লক্ষাধিক টাকার নিয়োগ বানিজ্যের কথা শুনেছেন। এবিষয়ে জেলা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির আর এক সদস্য গাজী রহিমউদ্দীন জানান, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের উপস্থিতে বিদ্যালয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। তবে মামলা ও তদন্তের বিষয়টি স্বীকার করে জানান  মামলার কারণে কোন নিয়োগ জটিলতা হয়নি। তিনি আরও জানান, কোনপ্রকার অর্থ বানিজ্য ছাড়াই সুষ্ট ভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে বলে দাবী করেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর ছামাদ জানান,  বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির দুটি মামলা আদালতে হয়েছে বলে শুনেছেন। তার কাছে কোন প্রকার নিয়োগ বন্ধের জন্য চিঠি বা তদন্ত প্রতিবেদন আসে নাই । তাকে বিরক্ত না করেই বিষয়টি নিয়ে জেলা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলার জন্য অনুরোধ জানান প্রধান শিক্ষক।
এ বিষয়ে তালা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আতিয়ার রহমান জানান, বিদ্যালয়ের মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি অবগত নন। এ বিষয়ে কোন লিখিত অভিযোগ বা বন্ধের কোন নির্দেশনা না থাকায় নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে খুলনা বিভাগীয় কর্মকর্তা এস এম মালেক জানান, অভিযোগ পেয়েছি । তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা  জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)