আশাশুনির খাস জমি অবৈধ দখল মুক্ত করে বন্দোবস্তের আবেদন

জি এম মুজিবুর রহমান, আশাশুনি:

আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নে যোগসাজস করে শত শত বিঘা সরকারি খাস জমি বছরের পর বছর লুটেপুটে খাওয়া হচ্ছে। এসব খাস জমি উদ্ধার করে বন্দোবস্ত দিয়ে সরকারি রাজস্ব আদায় এবং গরীব পরিবারগুলোর অধিকার রক্ষার জোর দাবী উঠেছে।

এলাকার ভ‚মিহীন ও সচেতন ব্যক্তিবর্গ জানান, শ্রীপুর মৌজায় ১ নং খতিয়ানে ৫০৬ ও ৫০৭ দাগে ১৩৬ একর জমি রয়েছে। এছাড়া পাশের মৌজা ও দাগে রয়েছে বহু চরভরাটি খাস জমি। এসব জমির মধ্যে প্রায় ৫০ বিঘা জমি বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েছে। বাকী জমি স্থানীয় একটি চক্র সরকারি কর্মকর্তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে নিজেরা হারির টাকার পরিমান ঠিক করে টাকা আদায় করে আসছে।

এতে প্রতি বছর চক্রটি লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। জমিগুলো সরকারি ভাবে উদ্ধার করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিলে সরকারি ভাবে প্রচুর রাজস্ব আদায় করা সম্ভব হবে। সাথে সাথে ভ‚মিহীনরা যেমন উপকৃত হবে, তেমনি চিংড়ী চাষের জন্য দীর্ঘমেয়াদী ইজারা প্রদান করা হলে রাজস্ব আদায়ের পাশাপাশি চিংড়ী উৎপাদন সম্ভব হতো।

শ্রীপুর, প্রতাপনগর, কুড়িকাহুনিয়া, কাশেমপুর ও আটরাই গ্রামের ওয়াজেদ আলী গাজী, হাবিবুর রহমান, মুজিবর রহমান, জালাল হোসেন, মহিউদ্দীন সরদার, আইয়ুব আলী, নূরে আলম, মোস্তফা কামাল, জিয়াউর রহমানসহ বেশ কিছু ব্যক্তি জেলা প্রশাসক সাতক্ষীরার মাধ্যমে ভ‚মি মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর ইতিমধ্যে চিংড়ী চাষের জন্য দীর্ঘমেয়াদী (১০ বছরের জন্য) বন্দোবস্ত পেতে আবেদন করেছেন। আবেদনে বলা হয়েছে, তফশীল বর্ণিত সম্পত্তি চিংড়ী চাষের উপযোগি এবং চিংড়ী চাষ হচ্ছে।

চিংড়ী মহাল ব্যবস্থাপনা নীতিমালা ১৯৯২ এর আলোকে চিংড়ী চাষের জন্য দীর্ঘমেয়াদী (১০ বছরের জন্য) ইজারা প্রদান করা হোক। এতে সরকারের রাজস্ব আদায় হবে এবং সরকারি সম্পত্তি সরতারের দখল বজায় থাকবে। এতে এলাকার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। আবেদন পাওয়ার পর সাতক্ষীরা রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর কৃষ্ণা রায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশাশুনিকে চিংড়ী মহাল ব্যবস্থাপনা নীতিমালা’ ১৯৯২ এর আলোকে এবং ভ‚মি মন্ত্রণালয়ের ২৮ এপ্রিল ২০১৯ খ্রিস্টাব্দ তারিখের ৩১.০০.০০০০.০৫১.৬৮.০১০.১৮-১০২ নম্বর স্বারকে জারিকৃত নির্দেশনা মোতাবেক সরেজমিনে তদন্ত করে মতামতসহ প্রতিবেদন প্রদানের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করেছেন।

এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে, তারা আবেদন করলেও এখনো চক্রটি থেমে নেই। ইতিমধ্যে অনেকে খাস জমি পূর্ববত দখল নিয়ে বাঁধের কাজ করে দখল নিশ্চিত করতে কার্যক্রম করে চলেছে। এব্যাপারে তড়িৎ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আবেদনকারীসহ এলাকাবাসী উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইয়ানুর রহমান জানান, অফিসে গিয়ে বিষয়টি দেখবো।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)