মিয়ানমারে আর কূটনীতিক নিয়োগ দেবে না যুক্তরাষ্ট্র

অনলাইন ডেস্ক :

মিয়ানমারের জান্তা সরকারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কে রাশ টানতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে রোববার (১১ ডিসেম্বর) মিয়ানমারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইরাবতী এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আগামী বছর নেপিদোতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তার জায়গায় নতুন করে আর কাউকে নিয়োগ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওয়াশিংটন।

জান্তা সরকারের অধীনে মিয়ানমারে মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি, ক্রমবর্ধমান বিমান হামলায় বেসামরিক নাগরিকের প্রাণহানি এবং বিরুদ্ধমত দমনে কঠোর অবস্থান নেয়ার জবাবেই মূলত যুক্তরাষ্ট্র এমন উদ্যোগ নিয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ইরাবতীর প্রতিবেদনে।

মিয়ানমারে নিযুক্ত বর্তমান মার্কিন রাষ্ট্রদূত থমাস ভাজদা ২০২১ সালে অভ্যুত্থানের অল্প কয়েকদিন আগে অর্থাৎ জানুয়ারিতে তার মেয়াদ শুরু করেন। এর আগে দীর্ঘ বিরতির পর মিয়ানমারে ‘গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া’ আংশিকভাবে শুরু হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ২০১২ সালে ওয়াশিংটন-নেপিদোর মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের কিছুটা উন্নতি হয়।

তবে গত বুধবার (৭ ডিসেম্বর) মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস তুলনামূলক শিথিল ‘ন্যাশনাল ডিফেন্স অথরাইজেশন অ্যাক্ট’ পাস করে। এই আইনের আওতায় যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীগুলোর সশস্ত্র শাখা, জাতীয় ঐক্যের সরকার (এনইউজে) এবং জান্তাবিরোধী গোষ্ঠীকে সামরিক সহায়তা দিতে পারবে।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের পর এরই মধ্যে জান্তাবাহিনীর হাতে আড়াই হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এ সময়ের মধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন আরও কয়েক হাজার।

এদিকে শুধু যুক্তরাষ্ট্রই নয়, মিয়ানমারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কে রাশ টানার ইঙ্গিত দিয়েছে যুক্তরাজ্য এবং অস্ট্রেলিয়াও। দেশ দুটি মিয়ানমারের জান্তা সরকারের কর্তৃত্ব স্বীকার করে এমন বেশ কয়েকটি চুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)