জানুয়ারি মাসেই ব্যাংকগুলোর ডলার সংকট দূর হবে: সালমান এফ রহমান

নিউজ ডেস্ক:

দেশের ব্যাংকগুলোতে যে ডলার সংকট আছে তা আগামী জানুয়ারি মাস থেকেই দূর হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।

তিনি আরো বলেন, যেসব জিনিস আমদানি করা প্রয়োজন, সেগুলো রমজানের আগেই আমদানি করা হবে। রমজানে আমাদের কোনো সমস্যা হবে না।

শনিবার এক দিনের সফরে ঐতিহাসিক মুজিবনগরে এসে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সালমান এফ রহমান এসব কথা বলেন।

এ সময় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

সালমান এফ রহমান বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে সব কিছুর দাম বেড়ে গেছে। আমদানি করতে গিয়ে আমাদের দেশের উপরেও চাপ পড়েছে। তারপরেও প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনায় সরকার দেশের এক কোটি পরিবারকে টিসিবি’র মাধ্যমে বিভিন্ন পণ্য কম মূল্যে পৌঁছে দিচ্ছে। আর এই এক কোটি পরিবারের মাধ্যমে ৪ থেকে ৫ কোটি লোক সেটি ভোগ করছে। ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে প্রায় ৪/৫ কোটি মানুষকে আমরা সরাসরি এই সহযোগিতা দিলে আর কোনো সমস্যা হবে না।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশের সব জায়গাই কলকারখানা গড়তে হবে, এটার প্রয়োজন নেই। মেহেরপুর জেলাতে বিভিন্ন ফসল ও মাছের চাষ জেলাকে সমৃদ্ধ করছে। প্রধানমন্ত্রী কৃষি জমি নষ্ট করে কলকারখানা গড়ার অনুমতি দিচ্ছেন না। এখন আর কলকারখানা না গড়ে ১০০টা বিশেষ অর্থনীতিক অঞ্চল গড়ে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। এলাকার মানুষ জমি দিলে এই এলাকায় ফুড প্রসেসিং বা কৃষি ভিত্তিক একটা বিশেষ অর্থনীতিক অঞ্চল গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেয়া সম্ভব হবে।

পরে তিনি ফিতা কেটে দেশের শীর্ষস্থানীয় বাণিজ্যিক ব্যাংক আইএফআইসি ব্যাংকের ১০০০তম মুজিবনগর শাখার উদ্বোধন করেন।

এসময় মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খান, মেহেরপুর পুলিশ সুপার মো: রাফিউল আলম, মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ খালেক, সদর উজেলার চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম, মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাসসহ ব্যাংকের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এ দিকে স্থল বন্দরের কার্যক্রম শুরু প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, স্থলবন্দরের সকল কাজই শুরু হবে। এরইমধ্যে স্থল বন্দরের গেজেট প্রকাশ ও সড়ক নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। স্থল বন্দরের জন্য যে রাস্তাগুলো দরকার সেগুলোও শুরু হয়েছে। অল্পদিনের মধ্যেই আমরা চেকপোস্টের কাজ শুরু করবো। স্থল বন্দরের জন্য যে স্থাপনাগুলো লাগে সেগুলো আগামীতে শুরু হবে।

তিনি বলেন, মেহেরপুর জেলায় মাটি উর্বর, এখানে সব ধরনের ফসল ও ফল উৎপাদন হয়ে থাকে। এই জেলা থেকে প্রচুর পরিমাণ বাধাকপি এখন রফতানি করা হচ্ছে। সব ধরনের ফসল ও ফল বিদেশে রফতানির ক্ষেত্রে মেহেরপুর জেলা বাংলাদেশের ১ম স্থানে থাকবে, এ ধরনের চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে। এ জেলার ফল ও ফসল রফতানি নিয়ে কৃষিমন্ত্রী কাজ করতে চাচ্ছেন। এ জন্য সম্প্রতি কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এই জেলা পরিদর্শন করেছেন। এখানে আগামীতে ফুড প্রসেসিং এর জন্য সরকার সব ধরনের কার্যক্রম হাতে নেবে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)