সাতক্ষীরা সদর ও দেবহাটায় বজ্রপাতে ২ জনের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক:

সাতক্ষীরা সদরে এবং দেবহাটায় বজ্রপাতে ২জন নিহত ও ইস্কেভেটর চালকসহ ৪জন আহত হয়েছেন। রোববার সকাল ৮টার দিকে ঘেরে সদরের খেজুরডাঙ্গী এলাকায় মাটি কাটার সময় বজ্রপাতে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। আহতদের সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নিহত ফারুক হোসেন (৪০) সাতক্ষীরা সদর উপজেলার খেজুরডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে।

আহতরা হলেন, খেজুরডাঙ্গা গ্রামের আমীর আলীর ছেলে ইরশাদ আলী (৩৫),মৃত ফটিক গাজীর ছেলে মহিদুল মজিদ(৪০),জোহর আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন (৫০) ও ইস্কেভটর চালক ঢাকার হুমায়ুন কবির।

সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খেজুরডাঙ্গা গ্রামের মহিদুল মজিদ জানান, খেজুরডাঙ্গা বিলে আমাদের মাছের ঘেরে ইস্কেভেটর মেশিন দিয়ে মাটি কাটা হচ্ছিল। মাটি কাটার সময় আমরা পাশে দাড়িয়েছিলাম। এসময় শুরু হয় বৃষ্টি ও বজ্রপাত। আমরা নিরাপদ স্থানে যাওয়ার আগেই বজ্রপাতে ফারুক মারা যান। এছাড়া আমরা ৪জন আহত হই।

লাবসা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম জানান,মাছের ঘেরে মাটি কাটার সময়ে বজ্রপাতে ফারুক নিহত ও আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আহতদেরকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ফারুকের মরদেহ তার খেজুরডাঙাস্থ বাড়িতে রাখা হয়েছে।

এদিকে, শনিবার সন্ধ্যায় দেবহাটা উপজেলার নারিকেলি গ্রামের আবদুল লতিফ (৫২) সন্ধ্যায় বজ্রাঘাতে মৃত্যু বরণ করেন। আবদুল লতিফ নারিকেলি গ্রামের পিয়ার আলি গাজীর পুত্র। প্রতিদিনের ন্যায় সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বাড়ির পাশে পাতার বিলের ঘেরে এসে নামাজ আদায় করে বাসায় বসে ছিলো। তখনই শুরু হয় প্রবল বৃষ্টি ও প্রচন্ড শব্দে মুহুরমুহ বজ্রপাত।

একপর্যায়ে লতিফ এর উপর পড়ে বজ্রপাত ঘটে এবং তাতেই তার মৃত্যু হয়। তাকে ফোনে না পেয়ে তার বৃদ্ধ পিতা পিয়ার আলি গাজী তাকে খোঁজ করতে এসে দেখে ঘেরের বাসার পাশে লতিফের নিথর দেহ পড়ে আছে।

সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি গোলাম কবির ও দেবহাটা থানার ওসি শেখ ওবায়দুল্লাহ ব্রজপাতে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)