শার্শায় ১ সপ্তাহে  হদিস মেলেনি চুরি হয়ে যাওয়া নবজাতকের

আঃজলিল, শার্শা :
যশোরের শার্শা উপজেলার নাভারণ ক্লিনিক এন্ড ডায়গনিষ্টিক সেন্টার থেকে নবজাতক কণ্যা শিশু চুরি হওয়ার সাত দিনেও অর্থ্যাৎ এক সপ্তাহের ব্যাবধানের মাথায় পেরিয়ে গেলেও  কোন হদিস মেলেনি। এদিকে সন্তানকে হারিয়ে শোকে দুঃখে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছে শিশুটির মা।
উল্লেখ্য, গত বুধবার (৮ই সেপ্টম্বর) বিকালে শার্শার সুবর্ণখালী গ্রামের বিল্লাল হোসেন ও রেকসোনা বেগমের দাম্পত্য জীবনে ফুটফুটে এক কণ্যা সন্তানের জন্ম হয়। জন্মের পরদিন বৃহষ্পতিবার দুপুর আড়াইটার সময় ওই নবজাতক শিশুটি হাসপাতাল থেকে চুরি হয়।অনেক খোঁজাখুঁজির করেও শিশুটির সন্ধান মেলেনি।
তবে অনেকে প্রশ্ন তোলেন, হাসপাতালের সিসি ক্যামেরায় দেখা যাচ্ছে, এক অপরিচিত নারী শিশুটি নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে। বাচ্চা নিয়ে পালানোর সময় ওই হাসপাতালের নিরাপত্তাকর্মী কোথায় ছিলেন ? যদি সে তার দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করতো তাহলে এমন ঘটনা ঘটতো না। এছাড়াও একদিনের বাচ্চা নিয়ে অপরিচিত কোন নারী নিচে নেমে পালিয়ে যাচ্ছে তা হাসপাতালের কেউ দেখেনি বিষটা বেশ ধোয়াশা।
নাভারণ ক্লিনিক এন্ড ডায়গনিষ্টিক সেন্টার এর তত্বাবধায়ক আবু সাইদ হিমন বাচ্চা চুরি হওয়ার বিষয়ে জানান, অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সুস্থ কণ্যা সন্তান জন্ম দেন রেক্সোনা খাতুন। শিশুটি আমরা তাদের হাতে তুলে দিই কিন্তু বৃহস্পতিবার দুপুরে শিশু সন্তানটি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বাচ্চাটি উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি আমরাও কাজ করে যাচ্ছি।
জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার শার্শা উপজেলা কমিটির সভাপতি সাংবাদিক আলহাজ্ব এইচ এম আবুল বাশার বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। এমন হৃদয়বিদারক ঘটনা দিনদিন বেড়েই চলেছে। আর যারা মায়ের বুক থেকে অবুঝ শিশু চুরির এমন জঘন্য কাজ করে এদেরকে নির্মূলে প্রশাষনের দৃষ্টি কামনা করেছেন। সেই সাথে কোন হাসপাতালে অপরিচিত কাউকে দেখলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানাতে ও নিজেদের সচেতন থাকারও আহ্বান জানান।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল আলম খান জানান, শিশুটি উদ্ধারে শার্শা থানা পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের চৌকস টিম উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)