অক্টোবরে খুলছে ঢাবির হল

নিউজ ডেস্কঃ

দীর্ঘ দেড় বছর বন্ধ থাকার পর অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হলে উঠানো হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। পহেলা অক্টোবর থেকে চতুর্থ বর্ষ এবং মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের জন্য খোলা হবে হল।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির মিটিংয়ে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। দেড় ঘন্টা মিটিংয়ের পর হল খোলার বিষয়টি ডেইলি বাংলাদেশকে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী। তবে এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের অবশ্যই ভ্যাকসিনের আওতায় আসতে হবে।

করোনা পরিস্থিতির উন্নতি অব্যাহত থাকলে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক হলগুলো খুলে দেয়ার চিন্তা করা হচ্ছে। তবে সব শিক্ষার্থীরা শুরুতে উঠতে পারবেন না। স্নাতক চতুর্থ বর্ষ এবং মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদেরকে শুরুতে উঠতে দেয়া হবে। তার আগে ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন কার্যক্রম শেষ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এই সময়ে দেশের করোনা পরিস্থিতির উন্নতি ও সংক্রমণের হার কমলে অক্টোবরের তারা হলে থাকতে পারবেন। পরে টিকা গ্রহণ সাপেক্ষে নভেম্বরের মাঝামাঝি হলে উঠানো হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষ থেকে তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের।

প্রক্টর গোলাম রব্বানী বলেন, শিক্ষার্থীদের একটি অংশ এখনো ভ্যাকসিনের আওতায় আসেনি। যারা এসেছে তাদের সঠিক তথ্য আমাদের হাতে এখনো আসেনি। তাই শিক্ষার্থীরা ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভ্যাকসিনের কার্যক্রম শেষ করা দরকার। শিক্ষার্থীরা ভ্যাকসিনের আওতায় আসলে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে স্নাতকোত্তর-স্নাতক চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের হলে উঠানো হবে এবং তাদের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে। হলে ওঠা এসব শিক্ষার্থীদের মধ্য নভেম্বরের মধ্যে শিক্ষা কার্যক্রম শেষ করা হবে। এই সময়কালে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় বর্ষের শিক্ষা কার্যক্রম যথারীতি অনলাইনে চলমান থাকবে। নভেম্বরের মাঝামাঝির পর থেকে বাকী শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য হল খুলে তাদের পরীক্ষা কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।

সভা শেষে এই বিষয়ে প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আবদুল বাছির সাংবাদিকদের জানান, সভায় শর্তসাপেক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল খোলার বিষয়ে বেশকিছু সিদ্ধান্ত এসেছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অধিকাংশ শিক্ষার্থী ভ্যাকসিন নিয়ে থাকলেও সেটার সঠিক তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে নেই। কিছু শিক্ষার্থী তাদের তথ্য জানিয়েছে। সেই অনুযায়ী সিংহভাগ শিক্ষার্থী ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে পূর্ণাঙ্গ তথ্য আসা সাপেক্ষে আাগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভ্যাকসিন কার্যক্রম সম্পূর্ণ করা, করোনা পরিস্থিতির উন্নতি, সংক্রমণের হার কমা সাপেক্ষে অক্টোবরের স্নাতক চতুর্থ বর্ষ ও মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে আবাসিক হলগুলো খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

প্রভোস্ট কমিটির মিটিংয়ে যেসব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে তা পরবর্তীতে সিন্ডিকেট সভায় উঠবে। সেখানে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খুলতে ও শিক্ষা কার্যক্রম সচল করতে শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা চেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যারা ভ্যাকসিন নিতে পারেনি বা আবেদন করেনি তারা যাতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিজেদের ভ্যাকসিন গ্রহণ নিশ্চিত করে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ও একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করা যাবে দ্রুত।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)