মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন : অপরাধ প্রমাণ হলে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে পরীমনির

অনলাইন ডেস্ক :

পরীমনির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের যে ধারায় মামলা হয়েছে, তাতে একটি ধারায় অপরাধের বর্ণনা অনুযায়ী তার সর্বনিম্ন এক থেকে ৫ বছর সাজা হতে পারে।

আরেকটি ধারা অনুযায়ী, ৬ মাস থেকে এক বছর সাজা হতে পারে। নায়িকার বিরুদ্ধে করা এ মামলায় অপরাধ প্রমাণ হলে সে অনুযায়ী তিনি এ শাস্তি পাবেন। ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত এই নায়িকা চার দিনের রিমান্ডে রয়েছেন।

মামলায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ২০১৮-এর ৩৬ (১) এর সারণি ২৪ (খ)/৩৬(১) এর সারণি ২৯(ক)/৩৬ (১) এর সারণি ১০ (ক)/৪২(১)/৪১ ধারা দেওয়া হয়।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮-এর ৩৬ (১) এর সারণি ২৪ (খ) ধারায় বলা হয়েছে, মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ১০ কেজি বা লিটারের বেশি এবং ১০০ কেজি বা লিটারের কম হলে কমপক্ষে তিন বছর ও সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড হবে। ৩৬ (১) এর সারণি ১০ (ক) ধারায় বলা হয়েছে, মাদকদ্রব্যের পরিমাণ সর্বোচ্চ ২০০ গ্রাম বা মিলিলিটার হলে কমপক্ষে এক বছর ও সর্বোচ্চ পাঁচ বছরে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড হবে।

৪২ (১) ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি যদি এ আইন অথবা বিধির কোনো বিধান লঙ্ঘন করে যাতে স্বতন্ত্র কোনো দণ্ড নেই, তাহলে তিনি ওই অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ এক বছর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

৪১ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি কোনো মাদকদ্রব্য অপরাধ সংঘটনে কাউকে প্ররোচনা দিলে অথবা সাহায্য করলে অথবা কারও সঙ্গে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হলে অথবা এ উদ্দেশে কোনো উদ্যোগ অথবা চেষ্টা করলে মাদকদ্রব্য অপরাধ সংঘটিত হোক বা না হোক, তিনি সংশ্লিষ্ট অপরাধের জন্য নির্ধারিত দণ্ডের মতো দণ্ড পাবেন।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ২০১৮-এর যেসব ধারায় মামলা হয়েছে তা যদি প্রমাণিত হয়, তাহলে তার সর্বোচ পাঁ বছরের শাস্তি হতে পারে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)