সাতক্ষীরায় চলছে কঠোর লকডাউন- থেমে নেই এনজিওর টাকা আদায়

এম ডি আরাফাত আলী:

সাতক্ষীরায় ৭ দিনের কড়া  লকডাউনের মধ্যে অতিবাহিত হয়েছে চারদিন।  করোনার প্রকোপ জেলাতে বেড়ে যাওয়ার কারণে জেলা প্রশাসন প্রজ্ঞাপন জারি করে সাধারণ মানুষদের বিনা কারণে ঘরের বাইরে যেতে বিধি নিষেধ জারি করছেন।

এছাড়া নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকান খোলা থাকবে সকাল ৬ থেকে বেলা ১২ টা পর্যন্ত সারাক্ষণ খোলা থাকবে ওষুধের দোকান। তবে এই ভয়াবহ করনাকালীন সময়  সাতক্ষীরায় থেমে নেয় এনজিও কর্মীদের টাকা আদায়। বিভিন্ন এনজিও প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা টাকা আদায় করার জন্য  চাপ প্রয়োগ  করছে গ্রাহকদের। কিন্তু সাতক্ষীরার বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহিতাদের অনেকে অভিযোগ করেছেন, তাদের কিস্তির টাকার জন্য কঠোর  তাগাদা  দিচ্ছেনএনজিও কর্মীরা।

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা বা এনজিওগুলো কিস্তির  ঋণ গ্রহিতাদের টাকা আদায়ের বিষয়টি স্বীকার করেছে।সাতক্ষীরা সদরের রহিম হোসেন নামে একজন চায়ের দোকানদার জানান, দু’টি এনজিও’র কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা  ঋণ নিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। পাঁচ মাস তিনি নিয়মিত প্রতি সপ্তাহে কিস্তির টাকা পরিশোধ করেছেন। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারিতে সাতক্ষীরায় ৭ দিনের লকডাউনে তিনি দোকান খুলতে না পারায়   অর্থ সংকটে পড়েছেন।

রহিম হোসেন বলেন এখন তিন বেলা খেতে পাচ্ছিনা এনজিওদের ঝণের টাকা দিবো কোথা থেকে। কিন্তু  অর্থসংকট এবং মহামারি কিছুই বুঝতে নারাজ এনজিও কর্মীরা।

শাহিনা পারভীন নামে একজন ব্যবসায়ী বলেন,”আমরা বলেছি যে, ৭ দিন লকডাউন দিছে আপনারা টাকার চাপ দেন ক্যান? আমি বলেছি, লকডাউনের জন্য দোকান খুলতে পারছিনা টাকা দিবো কোথা থেকে।  এরা শোনেই না। আমি তারপর বলছি যে, আপনাদের  কিস্তির জন্যে গলায় দড়ি দিবার জন্য বলছেন আমাকে? তখন বলছে  না গলায় দড়ি দেবেন ক্যান, আপনি চেষ্টা করেন। তো চেষ্টা করলে টাকা পাবো কোথায়।

এই মুহুর্তে কাজ করলেই মানুষ টাকা পাচ্ছে না।”এখন মনে হচ্ছে, টাকার জন্য পালিয়ে বাঁচতে পারলে ভাল হয়, তাওতো পরবো না। পালিয়ে বাঁচারওতো সুযোগ নাই আমাদের।

এবিষয়ে  সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল বলেন, এনজিও প্রতিষ্ঠানের টাকা আদায়ের বিষয়ে কোন বিধি নিষেধ জারি করা হয়নি।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)