ঘূর্ণিঝড় ইয়াস’র মোকাবেলায় উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরায় প্রস্তুতি গ্রহন

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

ঘূর্ণিঝড় “যশ” মোকাবেলায় উপকুলীয় জেলা
সাতক্ষীরায় সকল প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে জেলা প্রশসন সম্মেলন
কক্ষে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরী সভাও অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল জানান, আশঙ্কা করা হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াশ সাতক্ষীরা খুলনা উপকূলে আঘাত হানতে পারে। সে ধরনের পূর্বাভাস দেখেই ইতিমধ্যে সকল প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। জেলায় ১৪৫ টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র ও ১৫০০ স্কুল কলেজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পষ্কিার পরিচ্ছন্ন করে প্রস্তুত রাখা
হয়েছে। এছাড়া ১৮৩ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুদ রাখা হয়েছে। একই সাথে দুই
কোটি ১৫ লাখ টাকার নগদ অর্থ সহায়তার জন্য রাখা হয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও ওয়াটার ট্যাংকি প্রস্তুত রয়েছে। শ্যামনগর ও আশাশুনিতে ৪ হাজার ৮৮০ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

এছাড়া পর্যাপ্ত পরিমান প্রস্তুত রয়েছে পুলিশ, আনসার, বিজিবি ও স্বাস্থ্য বিভাগের সদস্যরা। জেলা প্রশাসন সব সময় সজাগ থেকে বরাবরের মত দুর্যোগ মোকাবেলায় সক্ষম হবে
বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি আরো জানান, ঘূর্ণিঝড় ইয়াশ’ মোকাবেলায় উপকুলীয় জেলা সাতক্ষীরায় যাতে কোন ধরনের জান মালের ক্ষতি না সে জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে।

এদিকে, ঘূর্ণিঝড় যশের প্রভাবে সাতক্ষীরার আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। তীব্র গরম ও আবহাওয়া গুমোট রয়েছে। রাতে ও সোমবার দুপুরে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হয়ে তা থেমে যায়। উপকুলীয় উপজেলা শ্যামনগর ও আশাশুনির পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেঁড়িবাধ গুলি রয়েছে চরম ঝুঁকির মধ্যে। ঘূর্নিঝড় আম্ফানের ক্ষত কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আবারো ঘূর্নিঝড় যশ নিয়ে উপকুলীয় এলাকার লক্ষ লক্ষ মানুষের
মধ্যে যেন এক অজাানা আতংক বিরাজ করছে। সাতক্ষীরার আবহায়া অফিসের
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন জানান, এটি যে কোন সময় সুন্দরবন
উপকুলীয় এলাকায় আঘাত হানতে পারে। তিনি আরো জানান, উপকুলীয় এলাকায়
বর্তমানে ২ নং সতর্ক সংকেত চলছে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)