করোনার টিকা নিবন্ধনে ছয় শর্ত শিথিল

নিউজ ডেস্ক:

নিবন্ধনের পর করোনার টিকা নিচ্ছেন সারাদেশের মানুষ। সোমবার দ্বিতীয় দিনে প্রথম দিনের তুলনায় টিকা নিবন্ধন ও নেয়ার সংখ্যা বেড়েছে। শুধু রাজধানী নয়, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও টিকা নিতে মানুষের আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। আর টিকা গ্রহণের উৎসাহ বাড়াতে ছয়টি শর্ত শিথিল করা হয়েছে।

সূত্র বলছে, চল্লিশ বছর থেকে তারও বেশি বয়সী মানুষও টিকা নিতে নিবন্ধন করতে পারবেন। সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে বয়সসীমা শিথিলের এ অনুশাসন দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এতদিন সুরক্ষা প্ল্যাটফর্মের ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনে (www.surokkha.gov.bd) ৫৫ বছরের বেশি বয়সী নাগরিক এবং সম্মুখসারিতে থাকা বিভিন্ন পেশাভিত্তিক শ্রেণি অথবা বিশেষ শ্রেণির নাগরিকরাই টিকার জন্য নিবন্ধন করতে পারছিলেন।

মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসনের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, টিকা নিয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে আলোচনার সময় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন যে, রোববার থেকে শুরু হওয়া টিকাদান কার্যক্রমকে আরেকটু রিল্যাক্স করতে হবে। তরুণ যারা আছেন আস্তে আস্তে তাদের ওপেন (সুযোগ) করে দিতে হবে। ফ্রন্টলাইন ফাইটারদের ফ্যামিলিকেও আস্তে আস্তে রেজিস্ট্রেশন করে টিকা দিয়ে দিতে হবে। এখন সাধারণ নাগরিক শ্রেণিতে ন্যূনতম বয়সের সীমা ৫৫ বছর থেকে কমিয়ে ৪০ বছর করা হচ্ছে, যা সোমবার (গতকাল) থেকেই কার্যকর হচ্ছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, যারা ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করতে পারেননি তারা এনআইডি নিয়ে টিকাকেন্দ্রে গেলে সেখানেও নিবন্ধনের ব্যবস্থা করা হবে।

তিনি বলেন, আগামী ৭ মার্চ পর্যন্ত প্রথম মাসের টিকাদান কার্যক্রম চলবে। এ টিকার কার্যকারিতা ৭০ শতাংশ। ১০০ জনের মধ্যে যদি ৭০ জন ইমিউন হয়ে যায় তাহলে রোগটি হ্যান্ডেল বা এটি ছড়ানোর ক্ষেত্রে অনেক কমফোর্টেবল একটা জোনে আমরা চলে যাব।

টিকার নিবন্ধনের শর্ত শিথিলের ব্যাপারে সোমবার থেকেই কাজ শুরু করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। বয়সসীমা শিথিলের পাশাপাশি নিবন্ধন সহজ করতে এবং সব শ্রেণির মানুষকে টিকার আওতায় আনতে পাঁচ-ছয় ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এসব উদ্যোগের ফলে টিকা প্রয়োজন এমন সব মানুষ সহজে নিজেরাই নিবন্ধন করতে পারবেন।

অধিদফতরের কর্মকর্তারা জানান, বয়সসীমার পাশাপাশি নিবন্ধনের ব্যাপারে আরোপ করা কিছু শর্ত নিয়ম তুলে নেয়া হয়েছে। তবে কেন্দ্রে নিবন্ধনের ব্যাপারে কিছু শর্ত বহাল রাখা হয়েছে।

অধিদফতর মনে করছে, কেন্দ্রে নিবন্ধনের সংখ্যা বাড়লে টিকার তালিকা তৈরি ও শৃঙ্খলার সঙ্গে করোনার সম্মুখসারির যোদ্ধাদের সময়মতো টিকা দেয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে। সেজন্য নিজেরাই নিবন্ধন করে টিকাকেন্দ্রে আসতে পারেন, সেদিকে বেশি নজর রাখা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, করোনাভাইরাসের টিকার জন্য নিবন্ধন করতে পাঁচ-ছয় ধরনের শর্ত শিথিল করা হয়েছে। আশা করছি, এখন থেকে নিবন্ধন ও টিকা নেয়ার সংখ্যা আরো বাড়বে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)