বৃক্ষপ্রেমী এস এম আমিনুর রহমান নজর কেড়েছে সর্বশ্রেনীর পেশার মানুষের
এস এম সাহেব আলীঃ
মানব ধর্ম বড় ধর্ম, মানুষকে ভালবাসা তার মধ্যে দিয়ে স্রষ্টাকে ভালবাসা”
বৃক্ষ রোপন মানুষের জন্য সর্বশ্রেষ্ট শখ হিসাবে প্রধান্য দিলে আত্ম হৃদয়ে প্রকৃত শান্তি লাভ করা সম্ভাব।”
শ্যামনগর উপজেলায় ২০১৭ সালে নকিপুর খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার পাচবাকাবরশী গ্রামে ৭১রে রনাঙ্গানের বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম আব্দুল করিমের ২য় পুত্র এস এম আমিনুর রহমান বুলবুল। তিনি শ্যামনগরে দায়িত্বপালন কালে বিভিন্ন সামাজিক কাজে নিজেকে আত্মনিয়োগ করে যাচ্ছে ।নকিপুর খাদ্যগুদাম পরিদর্শক জীবনের শখ হিসাবে বৃক্ষরোপনকে বেচে নিয়েছে ।
তিনি অত্যান্ত সাদামাটা জীবন যাপন করেন, তিনি দুই সন্তানের জনক, নকিপুর খাদ্যগুদাম সহ বিভিন্ন স্থান সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আমিনুর রহমান গুদামে চারিধারে বিভিন্ন ফলজ, ঔষধি বৃক্ষরোপন করে সবুজের সমরাহে পরিনত করেছেন, তিনি অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসাবে হরিনগর খাদ্য গুদাম সহ ভেটখালী খাদ্যগুদামের দায়িত্ব পালনে সেখানে সবুজের সমাহরের যে বাস্তব দৃশ্য সাধারন জনগনের নজর কেড়েছে তা থেকেও নিঃসন্দেহে বোঝা যায় তিনিই প্রকৃত একজন বৃক্ষপ্রেমিক।
তথ্যানুসন্ধানে আরো জানা যায়, খাদ্য গুদাম পরিদর্শক আমিনুর রহমান (বুলবুল) শৈশবকাল থেকেই বৃক্ষরোপনকে নিজের শখ হিসাবে নির্বাচনে করে বিভিন্ন সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃক্ষরোপন করে জনসাধারনের নজর কেড়েছেন, বৃক্ষপ্রেমী ব্যাক্তি শুধু বৃক্ষ রোপন করে ক্ষান্ত নয়, নিজের বেতনের টাকা সঞ্চায় করে বিভিন্ন সময়ে অসহায় দারিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের সাহায্যে করে, দারিদ্র গরীর অসুস্থ ব্যাক্তির সাহায্যে এগিয়ে আসতে দেখা যায়। নিজের পরিবারে জন্য সাদামাটা খাওয়া দাওয়া ও জীবনযাপনের দৃশ্য দেখা যায়, তিনি ধর্মীয় প্রতিষ্টানে তার অবদানের স্বাক্ষর রাখেন, ভেটখালী মতিয়ার মাঝী দীর্ঘদিন খুব অসহায় জীবন যাপন করে আসছিলেন হঠাৎ একদিন খাদ্যগুদাম পরিদর্শক আমিনুর রহমানের নিকট দুঃখ বলতেই দুচোখের কান্নার জল এসে যায়, খাদ্য গুদাম পরিদর্শক এস এম আমিনুর রহমান (বুলবুল) স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে সরকারী সাহায্যের ব্যবস্থা করেন। তিনি নকিপুর খাদ্যগুদামের ভেতরে পেয়রা, আম জাম কাঠাল জামরুল সহ নানান ধরনের গাছ লাগিয়েছেন। তা ছাড়া কেশবপুর নিজ গ্রাম হতে তাল বীজ সংগ্রহ করে শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নে মাসুদ মোড় টু দ্বীপায়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় সড়কে প্রায় ৬০০০তাল বীজ রেপন করেন, শ্যামনগর টু নওয়াবেকী রোড়ে চুনার ব্রীজ সংলগ্ন ১০০০ হাজার তাল বীজ রোপন করেন এলাকাটি বর্জনিরোধক করার জন্য তালবীজ বপন করেন। নওয়াবেকী টু কলবাড়ী সড়ক সংলগ্ন বৈদ্য বাড়ী রাস্তায় ও তালবীজ বপন করেছে। এ ছাড়া তিনি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিজের সমার্থ অনুযায়ী ১০-২০-২৫টি করে বৃক্ষ রোপনের দৃশ্য দেখা গেছে উপজেলার জোবেদা সোহরাব মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে উল্লেখযোগ্য। বিশেষ করে সৌদি খুরমা খেজুর সংগ্রহ করে, চারা উৎপাদন করে বিভিন্ন সম্মানিত ব্যাক্তির মাঝে দিয়েছেন ইতিমধ্যে। আসলে নকিপুর খাদ্যগুদাম ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম আমিনুর রহমান বুলবুলের মত রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তার দায়িত্ব পালনে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসাবে এই অসাধারন কার্যক্রমকে সকলে সাধুবাদ জানায়।
আসলে সরকারি কর্মকর্তা হিসাবে সকল মুক্তিযোদ্ধার সন্তান যদি আমিনুর রহমানের মত সামাজিক কাজে এগিয়ে আসে তাহলে অব্যশই অতি দ্রুত গতিতে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়া সম্ভাব হবে।সত্যিইকার অর্থে তিনি একজন বৃক্ষপ্রেমী মানুষ।