পর্যটক বেড়েই চলেছে আশাশুনি মরিচ্চাপ রিভারভিউ কেওড়া পার্কে

আশাশুনি মরিচ্চাপ রিভারভিউ কেওড়া পার্কে পর্যটকদের পদচারণায় ক্রমশঃ বেড়েই চলেছে। পার্কের ভিতরে শিশু কর্ণারে শিশুদের আনাগোনায় মুখরিত হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের নিয়ে বনভোজনে আসছে অনেক প্রতিষ্ঠান। পার্কটিতে কেওড়া গাছের সবুজ শ্যামলী মনোরম পরিবেশ দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন আগত দর্শনার্থীরা।
মরিচ্চাপ নদীর চরভরাটি জমিতে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় গড়ে তোলা পার্কটিতে কেওড়া বাগানের গোছালো গাছের পরিপাটি আকর্ষণীয় করে রেখেছে। পার্কে শিশুদের বিনোদনের জন্য আছে শেখ রাসেল শিশু কর্ণার, শিশু কর্ণারে শিশুদের খেলাধুলার জন্য দোলনা, ঢেকিকল, বাচ্চাদের ঘুর খাওয়া হ্যান্ডি চেয়ার, আনন্দ দায়ক উচু থেকে নিচের নামার স্লিপার বসানো হয়েছে। প্রতিস্থাপন করা হয়েছে বিভিন্ন প্রাণীর ভাস্কর্য, শিশুদের আনন্দ দায়ক বিভিন্ন খেলাধুলা সামগ্রী, পার্কের ভিতরে সড়কে মাঝে মধ্যে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য নির্মাণ করা হয়েছে বসার স্থান এবং বাঁশ দিয়ে তৈরী পাটাতনের রাস্তা ও গোল ঘর। আর সেখানে বসেই দেখা যাবে মনোরম পরিবেশ ও নদীর জোয়ার ভাটার প্রাকৃতিক দৃশ্য। যারা অল্প সময়ে সুন্দরবনের ন্যায় কিছু দৃশ্য দেখতে চান তাদের জন্য এটি আদর্শ পর্যটন কেন্দ্র। পার্কের মধ্যে বাঁশের পাটাতন দিয়ে তৈরি করা হয়েছে বেশ কিছু চমৎকার গোল ঘর। যেখানে বসে দর্শণার্থীরা আড্ডা দেওয়ার পাশাপাশি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। স্বল্প সময়ে দর্শনার্থীদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এ পার্কটি। পার্কটি উপভোগ করতে প্রতিদিন শত শত দর্শনার্থী তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে আনন্দঘন সময় কাটাতে আসছেন পার্কটিতে। পার্কের উন্নয়ন ফান্ডে মাত্র দশ টাকা প্রবেশ মূল্য দিয়ে প্রবেশ করতেই চোখে পড়বে শেখ রাসেল শিশু কর্ণার। পাশে পুকুরে ঘাপটি মেরে বসে থাকা কৃত্রিম কুমির, পুকুরের মধ্যে মাছ শিকারের অপেক্ষায় বগ ও বগছানা, মাছ রাঙ্গা পাখি। পার্কের সড়কের মধ্যে চোখে পড়বে প্লাস্টিকদ্বারা নির্মীত নানান প্রাণির ভাস্কর্য। বনের ভিতরে বাঁশের পাটাতনে তৈরি সড়ক পথে এগিয়ে যেতেই চোখে পড়বে গোল ঘর, কেওড়া গাছ ঘিরে আকর্ষণীয় বসার স্থান, বনের মধ্যে চোখে পড়বে বাঘ মামা, হরিণসহ কেওড়া পার্কের বিভিন্ন প্রান্তে বসানো হয়েছে কাঠ ও প্লাস্টিকদ্বারা নির্মীত নানান প্রাণির ভাস্কর্য। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ, দাতব্য প্রতিষ্ঠান, সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এ পার্কের সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসেন। কলেজ ছাত্র আবির ফারহাদ বলেন, সুন্দরবনের আদলে নির্মিত রিভারভিউ কেওড়া পার্ক নির্মাণ একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। এখানে না এলে হয়তো জানতাম না সুন্দরবন কি। মিনি সুন্দরবনের মাধ্যমে আমরা যেনো সুন্দরবনের সেই সৌন্দর্যকে উপভোগ করছি। সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ থেকে কালিগঞ্জ উপজেলা থেকে কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমানের বাড়ীর সামনে দিয়ে সড়ক পথেই আসা যায় এ রিভারভিউ কেওড়া পার্কে। সাতক্ষীরা জেলা শহর থেকে সড়ক পথে মাত্র ২৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এ পার্কটি। তালা উপজেলা থেকে বোয়ালিয়া ব্রীজের উপর দিয়ে বাঁকা দরগাহপুর হয়ে ও পাটকেলঘাটা এলাকা থেকে পাটকেলঘাটা ওভার ব্রীজের নিচের সড়ক দিয়ে দলুয়া-হরিণখোলা সড়ক দিয়ে এবং পাইকগাছা উপজেলা থেকে শিববাটি ব্রীজ থেকে বড়দল ব্রীজের উপর দিয়ে সড়ক পথেই পৌছানো যায় এ মরিচ্চাপ রিভারভিউ কেওড়া পার্কে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)