কেরানীগঞ্জে কারখানায় আগুন, নিহত বেড়ে ৯
কেরানীগঞ্জ উপজেলার চুনকুটিয়া এলাকায় অবস্থিত ‘প্রাইম পেট অ্যান্ড প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড’র কারখানার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত নয় শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত আটজনের মৃত্যু হয়। এছাড়া বুধবার ঘটনাস্থল থেকে একজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতদের মধ্যে ইমরান, বাবুল, রায়হান, খালেক ও সালাউদ্দিনের নাম জানা গেছে।
ঢামেক বার্ন ইউনিটের আবাসিক সার্জন (আরএস) ডা. আরিফুল ইসলাম নবীন মৃতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বুধবার বিকালে কারখানাটিতে আগুন লাগলে শ্রমিকরা পানি ও কারখানায় থাকা অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করলে তখনই তারা দগ্ধ হয়।
এ অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ১০ হাজার স্কয়ার ফিট কারখানাটির ভেতরের সব মালামাল ও যন্ত্রাংশ পুড়ে যায়। অগ্নিকাণ্ডের ধ্বংসস্তুপের ভেতর থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জাকির হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করে।
আগুন নিয়ন্ত্রণে কেরানীগঞ্জ, সদরঘাট, পোস্তগোলা ও সদর ফায়ার সার্ভিসের অন্তত ১০টি ইউনিট কাজ করে। ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি আগুন নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় বাসিন্দারাও এগিয়ে এসেছেন। এ ছাড়া স্থানীয় র্যাব পুলিশসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত হয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ চালায়।
ফায়ার সার্ভিস (ঢাকা জোন-৬) এর উপপরিচালক কাজী নজমুজ্জামান জানান, বিকেল সোয়া ৪টার দিকে আগুন লাগার পর আমরা খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৬টা পর্যন্ত কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। এ বিষয়ে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আশা করছি খুব দ্রুত আগ্নিকাণ্ডের সঠিক কারণ জানা যাবে।
বিকেল ৪টায় কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া হিজলতলায় প্রাইম পেট অ্যান্ড প্লাস্টিক ইন্ড্রাস্ট্রিস লি. এর কারখানার ভিতর গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে বলে এলাকাবাসীর ধারনা। কারখানাটিতে ওয়ান টাইম খাবার প্লেট, গ্লাসসহ বিভিন্ন আইটেম তৈরি হতো। আশপাশের মানুষ কিছু বুঝে ওঠার আগেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
একই বছরেই কেরানীগঞ্জের প্রাইম পেট অ্যান্ড প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কারখানায় এটি দ্বিতীয় অগ্নিকাণ্ড।