মোহনীয় পূজার সাজ

শুভ মহালয়ায় মর্ত্যলোকে দেবী দুর্গাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। এর মধ্য দিয়েই শুরু হয় শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি। পূজার এই মৌসুমে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পায় সাজ- পোশাক। পূজার সময় পোশাকের সঙ্গে মানানসই সাজ না হলে সবকিছুই যেন ভেস্তে যায়। তাহলে কেমন সাজবেন এই পূজায়? চলুন জেনে নিই-

পোশাক

পূজার পোশাক মানেই সাদা-লালপেড়ে শাড়ি। এবার সিল্ক বা সুতি ফেব্রিকে থাকছে ব্লকপ্রিন্ট, এমব্রয়ডারির প্রাধান্য। এছাড়া শাড়ির আঁচল, কামিজ বা কুর্তার নেক লাইন ও পাঞ্জাবির ক্যানভাসেও থাকছে ভিন্নতা। বলতে কি, এখন ধুতির জায়গা নিয়েছে পায়জামা। আরো এগিয়ে বললে জিন্স। অন্যদিকে শাড়ির জায়গায় সালোয়ার-কামিজ বা চুড়িদার কামিজ। তবে যাই পরের না কেন সেটা হতে হবে বয়সের সঙ্গে মানানসই।

লিপস্টিক

দুর্গাপূজায় পোশাক বলতেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে এক প্যাঁচে লাল-সাদা গরদ শাড়ি, চুলের সাজে খোঁপা বা খোলা রাখা লম্বা চুল, সিঁথিতে সিঁদুর, কপালে লাল টিপ, হাতে শাখা। আর এর সঙ্গে খুব সহজেই মানিয়ে যায় ঠোঁটে লাল লিপস্টিক। তবে এক্ষেত্রে আপনার চোখের মেকআপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ চোখের মেকআপকে গুরুত্ব দিতে চাইলে ঠোঁটকে হালকা রাখতে হয়।

মুখের মেকআপ

বেজ মেকআপের জন্য পুজোর সারা দিনের সাজে অবশ্যই আপনার স্কিন অনুযায়ী ম্যাচ করে বা এক ১/২ শেড উজ্জ্বল মেকআপ নির্বাচন করা প্রয়োজন। যেহেতু গরমের সময় তাই ঘাম থেকে বাঁচতে মেকআক হতে হবে ওয়াটার প্রুফ। এ সময় দিনের বেলায় সূর্যের তাপ থাকে প্রচুর। তাই ত্বক সানবার্নমুক্ত রাখতে অবশ্যই সান প্রোটেকটেড ফিল্টার সমৃদ্ধ মেকআপ নির্বাচন করা প্রয়োজন।

ব্লাশন

ব্লাশন ব্যবহারের ক্ষেত্রে ত্বকের রঙের সঙ্গে মানানসই ব্যবহার করতে হবে। ত্বকের রং মেকআপে ব্লাশনের সঠিক ব্যবহার সাধারণত তিন ধরনের হয়ে থাকে। যেমন ফর্সা, উজ্জ্বল শ্যামলা বা মাঝারি রং এবং কালো। ত্বকের রঙের ওপর নির্ভর করে ব্লাশনের রং পরিবর্তন হবে। আপনি ফর্সা হলে একটু হালকা রঙের ব্লাশন ব্যবহার করতে হবে। মেকআপ লাগানোর পর আপনার গালে ব্রাশ দিয়ে ব্লাশন লাগিয়ে ভালোভাবে মুখের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। কালো রঙের আধিকারী মেয়েদের ক্ষেত্রে গোলাপি অথবা হালকা কমলা রঙের ব্লাশ অন অনেক ভালো লাগবে। এ ছাড়াও রং হাইলাইট করতে হালকা সোনালি আভা দিলেও ভালো মানাবে।

চোখের মেকআপ

দুর্গাপূজার সাজসজ্জায় বাঙালি লুকটাই গুরুত্ব পায়। আর এখন যেহেতু গরমের সময় তাই হালকা মেকআপই ভালো লাগবে। আপনার চোখের জন্য আইশ্যাডোর ব্যবহারের ক্ষেত্রে ব্রাউন, ব্রোঞ্জ, গোল্ডেন, কপার এবং চাহিদা অনুযায়ী আইলাইনার ও ২/৩ কোট মাশকারার প্রলেপ দিন।

চুল

চেহারার ধরন, সময়, পোশাক, কোথায় ঘুরতে যাচ্ছেন— সবকিছুর সঙ্গে মানানসই হওয়া চাই আপনার চুলের স্টাইল। ঠিকঠাক মতো চুলের স্টাইলই এনে দিতে পারে আপনার সাজের পরিপূর্ণতা। কৌশল হিসেবে আগেভাগেই চুল বাঁধার কয়েকটি ধরন রপ্ত করে রাখতে পারেন।

অনুষঙ্গ

কানের দুল, গলার মালা, নাকের নথ, খোঁপার কাঁটা, সিঁথিতে সিঁদুর এসবই পূজার সাজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সিঁথিতে সিঁদুর দেয়ার ভিন্ন ভিন্ন ধরন আছে কিন্তু বিবাহিত মেয়েদের কাছে সিঁথিতে সিঁদুর কেবলমাত্র সাজের অনুষঙ্গ নয় পাশাপাশি হাতের শাঁখা-পলাও ঠিক তেমনই গুরুত্বপূর্ণ। কানের দুল, গলার মালা, নাকের নথ, খোঁপার কাঁটা সবই নির্ভর করে সাজের বিশেষত্ব, পোশাকের ধরন এবং মানুষটির পছন্দ ও ব্যক্তিত্বের ওপর।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)