পূজায় নজরকাড়া সাজে সাজতে জেনে নিন প্রয়োজনীয় টিপস

দেখতে দেখতেই পূজা চলে এসেছে। তাইতো রমণীদের প্রস্তুতিরও কমতি নেই। নিশ্চয় সব ধরণের কেনাকাটাও শেষ। এবার পালা নিজেকে নজরকাড়া সাজে সাজানো।

তাই এর জন্য জানতে হবে কিছু টিপস, যা আপনার সাজে নিয়ে আসবে সতেজতা। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক সেই প্রয়োজনীয় টিপসগুলো-

সাজের জন্য ত্বককে প্রস্তুত করা 
পূজাতে সুন্দরভাবে সাজার জন্য প্রথম দরকার ত্বককে প্রস্তুত করা। তাই পূজার আগের দিন একটি প্যাক ব্যবহার করুন। এর ফলে আপনার ত্বক মরা চামড়াবিহীন, পরিষ্কার ও উজ্জ্বল দেখাবে।

মসুরের ডাল বাটা ২ চা চামচ, আধা ভাঙা চালের গুঁড়া ২ চা চামচ, দারুচিনি গুঁড়া আধা চা চামচ, পোস্তদানা বাটা আধা চা চামচ, পুদিনাপাতা বাটা আধা চা চামচ, ডিম ফেটা ২ চা চামচ, মধু ১ চা চামচ, লেবুর রস ১ চা চামচ, গোলাপ জল পেস্ট করার জন্য প্রয়োজন মতো।

সবগুলো উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। তারপর এটি মুখে ভালোভাবে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। তবে যাদের ড্রাই স্কিন তারা গোলাপ জলের পরিবর্তে দুধ দিয়ে পেস্ট তৈরি করবেন।

সকালের সাজ
সকালের সাজটা থাকা চাই স্নিগ্ধ ও হালকা। তাই শুধু ফেসপাউডার দিয়ে বেস তৈরি করে কাজল, মাস্কারা ও হালকা লিপস্টিক দিয়ে সাজটা সেরে নিতে পারেন। আর চুলটাকে বেণী, হাতখোঁপা, পনিটেল, যেকোনো ক্লিপ দিয়ে গুছিয়ে চট করে বেঁধে নিতে পারেন।

দিনের সাজ
> দিনের সাজ রাতের থেকে হালকা হবে। প্রথমে বেস তৈরির জন্য আপনার স্কিনের রঙের সঙ্গে ও স্কিনের ধরনের সঙ্গে মিল ফাউন্ডেশন ব্যবহার করুন। ফাউন্ডেশনের ওপর ফেস পাউডার দিন।

> এখন আই শ্যাড হিসাবে একটু হালকা কালার নিন। ন্যাচারাল করতে চাইলে হালকা গোলাপি, হালকা ব্রাউন, পিচ কালার এভাবে স্কিন কালারের কাছাকাছি যেকোনো রঙ ব্যবহার করতে পারেন। তাছাড়া ড্রেসের সঙ্গে মিল রেখে মোভ, সবুজ, নীল যাই ব্যবহার করেন না কেন সব কালারের একদম হালকা শ্যাডটা ব্যবহার করবেন।

> কাজলের জন্য কাজল পেন্সিল ব্যবহার করবেন। চাইলে হালকা শ্যাডের সঙ্গে অ্যামারেল গ্রিন, একোয়া মেরিন কালার পেন্সিল দিয়ে চোখে লাইনার টেনে দিতে পারেন, যা চোখকে আকর্ষণীয় করবে। এবার মাস্কারা ব্যবহার করুন ও আইব্রাড এঁকে নিন।

> লিপ লাইনার দিয়ে ঠোট এঁকে ন্যাচারাল কালার, ব্রাউন, পিংক, পিচ, মোভ দিন। যদিও এখন ডার্ক ও ম্যাট কালার চলছে, তবে দিনে খুব ডার্কার কালার না দিয়ে ডার্ক কালারের হালকা শ্যাডটা ব্যবহার করবেন।

> হালকা ব্রাউন, গোলাপি, ব্লাশঅন ব্যবহার করবেন। কপালে টিপ পরতে পারেন।

> চুলকে বেণী, খেজুর পাটি বেণী, ফ্রেঞ্চ বেণী, টপনট, একটু ছেড়ে রেখে বাঁধা, বিভিন্ন স্টাইলে বাঁধতে পারেন। ক্লিপ, আলগা বিভিন্ন খোঁপা দিয়েও চুলকে সাজাতে পারেন। সামনের চুলকে সেট করে অথবা একটু এলোমেলোভাবে বেঁধে পেছনে ক্লিপ বা খোঁপা বেঁধে নিলেই অল্প সময়ে পরিপাটি সাজ হয়।

রাতের সাজ
> রাতে মেকআপ বেস হিসেবে প্যানস্টিক, প্যানকেক, তার ওপর ফেস পাউডার ব্যবহার করবেন। স্কিনে দাগ না থাকলে সরাসরি প্যানকেক ব্যবহার করতে পারেন।

> আই শ্যাডো যেকোনো ডার্ক কালার ব্যবহার করা যায়। তবে গর্জিয়াস লুকের জন্য সোনালি, সিলভারের টাচ দেয়া যায়।

> একটু নতুনত্ব আনার জন্য গতানুগতিক শ্যাড না দিয়ে শ্যাড বা কালার পেন্সিল বা কালার লাইনার দিয়ে লাইন করে চোখ আঁকতে পারেন। ভলিউম মাস্কারা ব্যবহার করুন, আইব্রাশ এঁকে নিন।

> ডার্ক পিংক, ম্যাজেন্টা, ব্রাউন ব্লাশন ব্যবহার করুন। লিপস্টিকের সঙ্গে মিল রেখেও ব্লাশন ব্যবহার করতে পারেন।

> লিপ লাইনার দিয়ে ঠোঁট এঁকে লিপস্টিক লাগান। এখন ডার্ক কালার, যেমন- রেড, অরেঞ্জ, ম্যাজেন্টা প্রভৃতি গাঢ় শ্যাডের লিপস্টিক চলছে।

> ইচ্ছেমতো টিপ ব্যবহার করুন।

> চুল রাতে যেমন খুশি বাঁধতে পারেন। সামনে লুস ফ্রেঞ্চ ব্রেইড বা টুইস্ট করে পেঁচিয়ে নিয়ে পিছে সামান্য বাঁধতে পারেন। চুল সম্পূর্ণ কার্ল বা শুধু নিচে কার্ল করে ছেড়ে রাখতে পারেন। এখন বিভিন্ন স্টাইলের বেণী চলছে, তাও করতে পারেন। তবে চিরন্তন খোঁপা সব সময়ই চলে, তাতেও কোনো সমস্যা নেই।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)