সাতক্ষীরায় ফিল্ম স্টাইলে রাতের আধারে কাপড়ের দোকান রাজ এন্টারপ্রাইজ দখল

নিজস্ব প্রতিনিধি:
ফিল্মি স্টাইলে সাতক্ষীরা বড় বাজার সড়কের রাজ এন্টারপ্রাইজ নামক দোকানের তালা কেটে দোকানঘর দখল, চেক বই, বাকী খাতা, নগদ আড়াই লক্ষ টাকা লুটপাট করেছে সন্ত্রাসীর। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিক প্রশাসনের কাছে প্রতিকার চেয়ে মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্য দোকান মালিক সদর উপজেলার মিয়াসাহেবেরডাঙ্গা গ্রামের মৃত সলেমান মোল্লার ছেলে আব্দুর রশিদ জানান, ১৯৮৫ সালে পলাশপোল এলাকার আদম আলীর ছেলে  রাজ্জাক মুন্সি প্রাণ সায়র এলাকার মৃত শফি খানের কাছ থেকে দোকান ডিড নেন। সে সময় দোকানঘরটি অন্যত্র হস্তান্তর বা সাব লীজ দেওয়ার কথা না থাকলেও ১৯৯৫ সালে অর্থলোভী আব্দুর রাজ্জাক ২ লক্ষ টাকারা বিনিময়ে ওই দোকানঘরটি নিজের দাবি করে আমার কাছে লীজ দেন। আমি সেখানে রাজ এন্টারপ্রাইজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নামে শান্তিপূর্ণভাবে দীর্ঘ ২৪ বছর যাবত ব্যবসা পরিচালনা করতে থাকি। গত ২০০৭ সালের দিকে এখবর জানতে পেরে দোকানের মূল মালিক মৃত. শফিখানের ছেলে একরামুল কবির খান আমার সাথে যোগাযোগ করে কাগজপত্র দেখিয়ে বিস্তারিত জানান।

সেসময় ওই রাজ্জাককে ডাকালেও রাজ্জাক সেখানে হাজির হননি। আব্দুর রাজ্জাক ডিডের চুক্তির পরিপন্থি কাজে সাথে লিপ্ত থাকায় ২০.০২.২০০৮ তারিখে সাতক্ষীরা নোটারী পাবলিকের কার্যালয় থেকে এফিডেভিটের মাধ্যমে রাজ্জাকের সাথে থাকা ডিডের চুক্তি বাতিল করে সরাসরি আমাকে ডিড দেন। সে অনুযায়ী আমি শান্তিপূর্ণভাবে শাড়ি, লুঙ্গি, ছিট কাপড়ের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলাম। কিন্তু গত ১৬.০৯.২০১৯ তারিখ সকাল ৭টার দিকে আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্ব স্থানীয় ব্যবসায়ী নজরুলের সহযোগিতায় তার জামাতা বকচরা এলাকার সন্ত্রাসী আব্দুস সালামসহ ৫০/৬০ জন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে ধারালো অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে তালা কেটে দোকানের মধ্যে প্রবেশ করে দোকানে থাকা ডাচ বাংলা ব্যাংকের চেক বই, মার্কেটে বাকী দেওয়া ৫লক্ষাধিক টাকার টালি খাতাসহ দোকানে থাকা অতি গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র লুটপাট করতে থাকে।

স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে দ্রুত সেখানে আসলে তাদের হাতে থাকা অস্ত্র উঁচিয়ে ভীতি প্রদর্শন করে আমাদের তাড়িয়ে দেয়। সেসময় বিষয়টি দোকানের মালিক একরামুল কবির খানকে অবহিত করলে তাৎক্ষনিক তারপুত্রসহ তার ম্যানেজার সেখানে পৌছালে তাদেরও খুন জখমের হুমকি প্রদর্শন করে তাড়িয়ে দেয়। আমি তখন সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ সেখানে গিয়ে তাদের নামিয়ে দিয়ে পুলিশ তালা মেরে দেয়। এঘটনায় আমরা সেদিনই সাতক্ষীরা সদর থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করি। তিনি আরও বলেন,দোকান মালিক যদি রাজ্জক হয়ে থাকে তাহলে কোর্টে থানায় বা জেলা বস্ত্র ব্যবসায়ীর নিকট আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিতে পারতো। তার না করে রাতের আধারে সন্ত্রাসীদের দিয়ে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৫০ লাখ টাকার মালামাল লুট করার জন্য এ ঘটনা ঘটিয়েছে। আমি যাতে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ফিরে পেতে পারি তার জন্য তিনি জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা কাপড় ব্যবসায়ী সমিতির কোষাধ্যক্ষ আবুল কাসেম, সদস্য বাবর আলি, আলমগীর হোসেন, আব্দুর রশিদের ছেলে মাসুদুর রহমান ও মামুনুর রশিদ।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)