কলারোয়া সরকারি হাসপাতালের লক্ষ লক্ষ টাকা লুটে খাচ্ছে মামুন
সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্যাথলজি বিভাগের লক্ষ লক্ষ টাকা লুটে খাচ্ছে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) আল মামুন। সরেজমিনে যেয়ে দেখা যায় এক্সরে থেকে আরম্ভ করে শারীরিক পরীক্ষা করার সব ধরনের ব্যবস্থা ওই হাসপাতালে থাকলেও নেই কোন টাকা প্রাপ্তির রশিদ। যার ফলে প্রতিবছর সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা লুটে খাচ্ছে হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট। কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কিডনি ও রক্ত পরীক্ষা করতে এসে সোরাইয়ার পিতা জানান,তার মেয়ের কিডনি পরীক্ষা করার জন্য সাড়ে ৩’শ ও রক্ত পরীক্ষার জন্য আড়াইশ টাকা নিয়েছে । তবে তাকে কোন প্রকার টাকা প্রাপ্তি রশিদ দেওয়া হয়নি।
এছাড়া ওই হাসপাতালে প্যাথলজি বিভাগে প্রসাব,রক্ত ও বিভিন্ন প্রকার শারীরিক পরীক্ষা করতে আসা হাসিবুল ইসলামসহ কয়েকজন বলেন,তাদের কাছ থেকে টাকা নিলেও কোন প্রকার রশিদ দেয়নি। টাকা প্রাপ্তি রশিদ না দিয়ে প্যাথলজি বিভাগে বাৎসরিক যে টাকা হাসপাতালে আয় হয় তার সিংহ ভাগ যায় মেডিকেল টেকনোলজিস্ট মামুনের পকেটে এমনই অভিযোগ স্থানীয়দের ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতালে দায়িক্তরত কয়েকজন জানান, প্রতিদিন প্রায় ১৫ থেকে ২০ জন রোগী বিভিন্ন ধরনের শারীরিক পরীক্ষা করতে আসে ওই হাসপাতালে। তাদের কাছ থেকে নির্ধারিত মূল্যে টাকা নিলেও সরকারি খাতায় জমা পড়ে সীমিত।
এ বিষয়ে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট আল মামুনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,দীর্ঘ ৫ বছর যাবত ওই হাসপাতালে কর্মরত আছেন। এই পর্যন্ত পরীক্ষা নিরীক্ষার সরকারি টাকা প্রাপ্তি রশিদ তিনি কাউকে দেননি। তাছাড়া তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে কোন প্রাপ্তি রশিদ দেওয়া হয়নি। তবে লক্ষ লক্ষ টাকা লুটে খাওয়ার বিষয় অস্বীকার করেন তিনি।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বলেন, টাকা নিলে তার প্রাপ্তি রশিদ দিতে হয়। তবে প্রাপ্তি রশিদ দেওয়া হচ্ছেনা বিষয়টি তিনি অবগতনন বলে জানান।