ভাগ্নে আলাউদ্দিনকে জমি থেকে উচ্ছেদ করতে চায় মামা জাকির হোসেন

আমি আমার মা খালাদের জমি দখলে আছি। অথচ আমার মামা জাকির হোসেনের তা সহ্য হয়না। এজন্য ষড়যন্ত্রের পর ষড়যন্ত্র চালাচ্ছেন তিনি। আমার জমিতে লাগানো ধান জোর করে কেটে নিয়ে গেছেন মামা জাকির ও তার লোকজন। পুলিশ সালিশ বিচার করে আমার ৩০ মন ধানের মধ্যে ১০ মন ধান আদায় করে দিয়েছে। বাকি ২০ মন ধান মামা আগেই চুরি করে বিক্রি করে দিয়েছেন। এখন মামা আমাকে জেল খাটাবেন, ঘরে ফেনসিডিল রেখে ধরিয়ে দেবেন এমন সব প্রচার দিয়ে নতুন ঘড়যন্ত্র করছেন।

শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা বলেন কলারোয়া উপজেলার মাদরা গামের মুনসুর আলির ছেলে মো. আলাউদ্দিন। তিনি বলেন মা ও খালাদের পৈতৃক সূত্রে পাওয়া ২৯৬ ও ২৯৮ দাগের ২ একর ৪৭ শতক জমির মধ্যে ৩০৬ দাগে ৪১ শতক ভোগদখল করছিলাম । কিন্তু মামা কলারোয়ার মাদরা এলাকার জাকির হোসেন মা ও খালাদের বিবাদী করে মামলা করেন। ওই মামলার রায় ও ডিক্রি আসে আমাদের পক্ষে। এর বিরুদ্ধে মামা আপিল করলে সে রায়ও আসে আমাদের পক্ষে। এমনকি মা ও খালাদের বিবাদী করে যে পিটিশন মামলা করেছেন মামা তার রায়ও আমাদের পক্ষে এসেছে।

সংবাদ সম্মেলনে মো. আলাউদ্দিন বলেন কয়েক বছর আগে চেয়ারম্যান মেম্বর এবং উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টুর মধ্যস্থতায় আমরা ৫০ হাজার টাকা দেই মামা জাকিরকে। এর পর থেকে তিনি আর ওই জমি দাবি করবেন না বলে প্রতিশ্রুতি দেন। ২০১৩ সালের ২২ জুন তারিখের এ ঘটনার পর থেকে আমি সে জমি ভোগদখল করে আসছি। ওই জমিতে এবার আমার লাগানো ইরিধান প্রচুর হয়েছে। আমি ধানের একাংশ কেটে বাড়িতে আনি। একাংশ কেটে সেখানে ফেলে রাখি। বাকি অংশ কাটার অপেক্ষায় ছিলাম। এরই মধ্যে আমার মামা জাকির হোসেন তার সহযোগী ফজলু মন্ডল, কলিম মন্ডল, সামাদ মন্ডল, বাবু মন্ডল, শাহিন মন্ডল , শামীম মন্ডল আদালতের রায়কে অমান্য করে এবং সালিশ বৈঠকের সিদ্ধান্ত লংঘন করে জমিতে থাকা অবশিষ্ট ধান কেটে নেয়। শুধু তাই নয় আমার অনুপস্থিতিতে আমার বাড়িতে এনে রাখা ধান এবং ক্ষেতে কেটে রাখা ধান জোর করে লুট করে নিয়ে যান মামা জাকির হোসেন এবং তা মেশিনের মাড়াই শুরু করে। আলাউদ্দিন জানান বিষয়টি কলারোয়া থানা পুলিশকে জানালে ওসির নির্দেশে একজন পুলিশ কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে যেয়ে সবাইকে শান্তি বজায় রাখার নির্দেশ দেন্ এবং কাগজপত্র সহ থানায় ডেকে পাঠান। তিনি জানান চারদিন পর পুলিশ সালিশ বিচার করে আমার পাওনা সব ধান ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেয় মামা জাকির হোসেনকে। পুলিশের চাপের মুখে জাকির হোসেন ১০ মন ধান দিলেও বাকি ধান বিক্রি করে ফেলেছেন বলে অজুহাত তোলেন। তবে তিনি সে ধান ফেরত দেবেন বলে পুলিশকে কথা দিলেও এখন পর্যন্ত কিছুই করেন নি।

আলাউদ্দিন বলেন এসব ঘটনার পর মামা জাকির হোসেন ভিন্ন রুপ ধারণ করে বলেছেন তোরে জেলে ঢুকাবো। তোর ঘরে ফেনসিডিল রেখে কেস খাওয়াবো। তোদের দোকানে আগুন জ্বালিয়ে দেবো। তোদের পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ মেরে ফেলবো। তার এসব হুমকির মুখে আমি ও আমার পরিবার আতংকিত হয়ে পড়েছি। তিনি এ বিষয়ে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের সগযোগিতা কামনা করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন তার মা সুফিয়া বেগম ও খালা রোকেয়া বেগম।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)