মগের মুল্লুক নাকি মাদ্রাসার জায়গা ছাড়বো!

তালায় মাগুরা পীর শাহ জয়নদ্দীন দাখিল মাদ্রাসার সম্পত্তি দীর্ঘদিন যাবত স্থানীয় প্রভাবশালী লোকেরা জবর দখল সহ বিভিন্ন হুমকি ধমকি প্রদান করে আসছে ।এই বিষয় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন মহলের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছেন মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষ ।

১৯৬২ সালে মাগুরা মৌজার সাবেক ১৩৯২ দাগ,৮৫৭ খতিয়ানের ও ৭১ নং জেএল নং জমি জনৈক সুরমান আলী নাম একজন দানবীর মাদ্রাসার জন্য ২৪ শতক জমি দান করে যান । সে অবধি থেকে মাদ্রাসায় সঠিক ভাবে পরিচালিত হচ্ছিল । কিন্তু হঠাৎ কিছুদিন ধরে এলাকার কিছু প্রভাবশালী মহল মাদ্রাসার ৬ শতক জমি দখল করে দোকান তৈরী করে ব্যবসা করে আসছে ও ৬ শতক জমি তাদের নামে লিখে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন প্রকারের হুমকি ধামকি প্রদান করছে ।

প্রতিষ্ঠা কালীন সদস্য জাফর আলী(৭৭) জানান, ১৯৬২ সালে সরমান আলী ২৪ শতক জমি মাদ্রাসার জন্য দান করে দিয়ে যান । তবে কিছুদিন যাবত প্রভাবশালী লোকেরা ৪টি দোকান ঘর নির্মাণ করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে এবং কোন প্রকারের ভাড়া প্রদান করে না ।

মাদ্রাসার সুপার আলাউদ্দীন ও সহ সুপার আবু বক্কর জানান, আমরা ১৯৫৮সাল হতে সুনামের সহিত পাঠদান করে আসছি । বর্তমানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৩০০-৩৫০ জন ছাত্র ছাত্র পড়াশুনা করে ১৮ জন শিক্ষক ও কর্মচারী সহ ছোট ছোট মাত্র ১০ টি রুম আছে যা দ্বারা আমাদের প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের পাঠ দান করানো কষ্টকর হয়ে পড়ছে । তাহার কারণে আমরা মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেন । তৎকালীন জেলা প্রশাসন আবেদনের প্রেক্ষিতে মাননীয় জেলা প্রশাসকের আদেশক্রমে জেলা প্রশাসক অরুণ কুমার মন্ডল (রাজস্ব) ২৯৭০ অধ্যাদেশের ২৭/৭০ এর প্রেক্ষিতে নোটিশ প্রেরণ করে । যাহার তারিখ ১৭/৪/১৭ । নোটিশ প্রেরণের সত্বেও ৪ টি দোকানী ,মাগুরা গ্রামের মনির উদ্দীন রুঘুনাথপুর গ্রামের আ: কাদের,মালেক শেখ ও এমান আলী শেখ বহাল গায়ের জোরে দোকান পরিচালনা করে আসছে । সর্বশেষ ৩১ ধারায় আমরা মোট ২৪ শতক জমি পেয়েছি তবুও তারা জায়গা ছাড়ছে না ।

দোকানদারদের কাছে প্রতিবেদক জানতে চাইলে, আমাদের তো উচ্ছেদের নোটিশ প্রেরণ করা হয়েছে তাহার সত্বেও কেন আপনারা মাদ্রাসার জায়গা দখল করে আছেন । তারা বলেন মগের মুল্লুক নাকি বললেই ছেড়ে দেব । আমরা জায়গা ছাড়ব না অমন কত লোক দেখেছি কিছুই করতে পারিনি ।

সুশীল সমাজের দাবি,স্থানীয় ভাবে আমরা অনেক বার তাদেরকে মাদ্রাসার জায়গাটি ছেড়ে দেওয়ার জন্য শালিসী বৈঠক করেছি কিন্তু কোন প্রকারের কর্ণপাত করেনি । আসলে তাদের খুটির জোর কোথায়? আমরাও জানতে চাই ।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)