চীনে কারখানায় বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ৪৭
চীনের পূর্বাঞ্চলে একটি রাসায়নিক কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৭ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরো প্রায় সাড়ে ৬’শ জন। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম জিনহুয়া এজেন্সি’র বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে বিবিসি।
বৃহষ্পতিবার স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে ইয়ানচেং শহরে তিয়ানজিয়াই কেমিক্যাল কোম্পানির মালিকানাধীন হেংলিডা কেমিক্যাল ফ্যাক্টরিতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনা কবলিত কারখানাটিতে রাসায়নিক সার উৎপাদিত হতো। বিস্ফোরণের পরপরই কারখানাটিতে আগুন ধরে যায় এবং খুবই দ্রুত তা ছড়িয়ে পড়ে। চীনের ভূমিকম্প অধিদফতর জানিয়েছে, কারখানায় বিস্ফোরণটি এতটাই শক্তিশালী ছিলো যে এর প্রভাবে সেই এলাকাটিতে ২.২ মাত্রার ভূমিকম্পের সৃষ্টি হয়েছিলো।
জিনহুয়া’র তথ্য অনুসারে, কারখানায় বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ফলে এখন পর্যন্ত ৬৪০ জনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৫৮ জনের আঘাত গুরুতর ও ৩২ জনের অবস্থা সঙ্কটাপূর্ণ।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সমূহ জানিয়েছে যে, বিস্ফোরণের তীব্রতা এতই ভয়াবহ ছিলো যে এর প্রভাবে কারখানা ভবনটি ধসে পড়েছে। ধসে পড়া ভবনটির ভেতরে বেশ কয়েকজন শ্রমিক নিখোঁজ আটকা পড়েছেন।
কারখানাটির একজন কর্মী জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের ফলে কারখানা ভবনটির ছাদ ধসে পড়ে ও দরজা-জানালা সব উড়ে যায়।
প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শুক্রবার স্থানীয় সময় রাতে অগ্নিনির্বাপক বাহিনী কারখানাটির আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে। কারখানাটিতে বিস্ফোরণের কারণ এখনও জানা যায়নি। এ নিয়ে ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে।
চীনে কারখানাগুলোতে প্রায়ই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার ফলে এ অগ্নিকাণ্ডগুলো সাধারণত হয়। গেল বছর নভেম্বরে উত্তরাঞ্চলীয় ঝ্যাংজিয়াকও প্রদেশে একটি কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ২২ জন নিহত আরো ২২ জন আহত হয়েছিলো।
তবে দেশটিতে কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানীর সবচেয়ে বড় ঘটনা ঘটেছিলো ২০১৫ সালের আগস্টে। তিয়ানজিন বিস্ফোরণ নামে পরিচিত এ দুর্ঘটনায় ১৬০ শ্রমিক নিহত ও অন্তত ১ সহস্রাধীক লোক আহত হয়েছিলো, যা দেশটির ইতিহাসে কারখানা দুর্ঘটনায় এখনও সর্বোচ্চ প্রাণহানীর ঘটনা।