মহেশ্বরকাটি হিমখালী খাল খননের নামে খাল ভরাট!

আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের মহেশ্বরকাটি হিমখালী খাল খননের নামে ভরাটের প্রক্রিয়ায় সচেতন মহল উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। খাল খননের তুলনায় অর্ধেক খাল ভরাট করে দেওয়ায় অবৈধ দখলের বিষয়টি এলাকাবাসীকে ভাবিয়ে তুলেছে।

হিমখালী খালের একটি অংশ মহেশ্বরকাটি স্লুইস গেটের খালের সাথে মিশে আছে। খালটি নদীর পলি জমতে জমতে ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছিল। ব্লুগোল্ড এর মাধ্যমে খালটি পুনঃ খননের মাধ্যমে সচল রাখার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। প্রায় ১৩০ ফুট চওড়া ও আড়াই কিলোমিটার দীর্ঘ খালটি খননের পরিকল্পনা মাথায় নিয়ে ৪৬০ মিটার খননের কাজ শুরু করা হয়েছে। ১৩০ ফুট চওড়া খালের মাঝ বরাবর মাত্র ২৬ মিটার খাল খনন করা হচ্ছে। খনন করা মাটি খননকৃত স্থান হতে ৬ মিটার দূরে উভয় পার্শে ফেলান হচ্ছে। ফলে মাত্র ২৬ মিটার খাল খনন করা হচ্ছে এবং মাটি ভরাট করা হচ্ছে প্রায় অর্ধেক খাল। জোয়ারের পানি ও বর্ষার পানিতে ২৬ মিটার খাল পুনরায় ভরাট হয়ে যাবে স্বল্পতম সময়ে। সেটি হয়তো আবারও পুনঃ খনন হবে কিংবা জোয়ার ভাটার পানির টানে হয়তো দীর্ঘ সময় টিকবে। কিন্তু খালের দু’পাশে মাটি ভরাটের কারণে অসাধু ব্যক্তিবর্গ কিংবা সুযোগ সন্ধানীরা অবৈধ দখল ক্রিয়ার ফলে খালের অস্তিত্ব নষ্ট করে ফেলবে। ইতিমধ্যে খালের দু’পাশের ভরাটি জমিতে তপন সরকার, গোবিন্দ হালদার, দিলীপ, অনুরেশ, অচিন্ত্য মন্ডল, দিনু, মিলন, জীবন, শ্যামলসহ অনেকে অবৈধ দখল নিয়ে আছে কিংবা নিতে শুরু করেছেন। এখনই প্রতিরোধ না করলে অচিরেই খালের অর্ধেকাংশ জমি অবৈধ দখলে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা বিরাজ করছে। তাছাড়া পুরা খালের জমিতে খনন কাজ করে পাশের বাঁধে মাটি ফেলানোর কাজ করান যায় কিনা সেটি বিবেচনায় নেওয়া দরকার। এব্যাপারে ব্লুগোল্ড কর্তৃপক্ষ, জেলা প্রশাসক ও এমপি মহোদয়ের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)