এই দিনে: ২০ ডিসেম্বর ২০১৮

ইতিহাস কথা বলে। মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা ভালো, যা মন্দ এবং মানবসভ্যতার জন্য অভিশাপ-আশীর্বাদ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।

আজ ২০ ডিসেম্বর ২০১৮, বৃহস্পতিবার। ০৬ পৌষ, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এ দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনা
১৭৫৭- রবার্ট ক্লাইভ বাংলার গভর্নর হন।
১৭৮০- নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে ইংল্যান্ড যুদ্ধ ঘোষণা করে।
১৭৯০- যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম কটন মিল চালু হয়।
১৮৩০- যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, প্রুশিয়া, অস্ট্রিয়া, রাশিয়া বেলজিয়ামকে স্বীকৃতি দেয়।
১৯৩৯- রেডিও অস্ট্রেলিয়া আন্তর্জাতিক শর্টওয়েভ সম্প্রচার শুরু করে।
১৯৫৭- সানফ্রান্সিসকো চলচ্চিত্র উৎসবে সত্যজিৎ রায় পরিচালিত ‘পথের পাঁচালী’ শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের পুরস্কার লাভ করে।
১৯৭১- ইয়াহিয়া খান পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন এবং জুলফিকার আলী ভুট্টো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হন।
১৯৮৮- প্রধানমন্ত্রী রণসিংহে প্রেমাদাসা শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।

জন্ম
১৫৩৭- সুইডেনের রাজা তৃতীয় জন।
১৮৬৬- সাংবাদিক ও সম্পাদক পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়।
১৯৩১- বাংলাদেশের মার্কসবাদী লেখক বদরুদ্দীন উমর।

মৃত্যু
১৭৩৭- চীনের সম্রাট কাংজি।
১৯১৫- বাঙালি লেখক, বাংলা মুদ্রণের পথিকৃৎ উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী।

তিনি ছিলেন একাধারে লেখক চিত্রকর, প্রকাশক, শখের জ্যোতির্বিদ, বেহালাবাদক ও সুরকার। ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দের ১২ মে ময়মনসিংহ জেলার মসুয়া গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। সন্দেশ পত্রিকা তিনিই শুরু করেন যা পরে তার ছেলে সুকুমার রায় ও পৌত্র সত্যজিৎ রায় সম্পাদনা করেন। গুপি গাইন বাঘা বাইন, টুনটুনির বই ইত্যাদি তারই অমর সৃষ্টি।

১৯৫৪- নোবেলজয়ী ব্রিটিশ বিজ্ঞানী ফ্রান্সিস উইলিয়াম অ্যাস্টন।
১৯৫৪- ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক জেমস হিল্টন।
১৯৯০- সংগীতশিল্পী মাহমুদুন্নবী।
১৯৬৮- নোবেলজয়ী মার্কিন ঔপন্যাসিক জন স্টেইনবেক।
২০১৪- বাংলাদেশি জিনতত্ত্ববিদ ড. মাকসুদুল আলম।

তিনি ফরিদপুরে ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দের ১৪ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তার নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ডাটাসফটের একদল উদ্যমী গবেষকের যৌথ প্রচেষ্টায় ২০১০ খ্রিস্টাব্দের মাঝামাঝি সময়ে সফলভাবে উন্মোচিত হয় পাটের জিন নকশা। মাকসুদুল আলম ২০১৪ খ্রিস্টাব্দের ২০ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইয়ে কুইনস মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। বাংলাদেশ সরকার তাকে ২০১৬ খ্রিস্টাব্দের স্বাধীনতা পদক দেয়।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)