একটি ফুলের জন্য ৩য় শ্রেণির ছাত্রীকে মারপিট

কলারোয়া উপজেলার ৭নং চন্দনপুর ইউনিয়ানের গয়ড়া গ্রামে একটি ফুলের জন্য বেধড়ক মারপিট করে গয়ড়া জিআর বালিকা দাখিল মাদ্রসার ৩য় শ্রেণির ছাত্রী মোছাঃ শ্যামলী খাতুন (৯) কে। জানা যায় গয়ড়া গ্রামের আবুল বাশারের ৯ বছরের মেয়ে কে গয়ড়া গ্রামের মোঃ তুজাম সরদারের মেয়ে মোঃ রুবিনা খাতুন (১৮) একটু ফুলের জন্য এড়োপাতারি ভাবে মারধর করেন।

প্রত্যক্ষদশি খাইরুল বাশারের স্ত্রী নারগীস বেগম জানান, মেয়েটি আনুমানিক সকাল ৮ দিকে গয়ড়া জি আর বালিকা দাখিল মাদ্রাসায় যায়, মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে একই গ্রামের মোঃ নজরুল ইসলামের ছেলে মোঃ ইব্রাহিম মেয়েটিকে দুইটি ফুল দেই, মেয়েটি ফুল নিয়ে মাদ্রাসায় যায়। তোজামের মেয়ে রুবিনা (১৮) মাদ্রসার ভিতরে ডুকে শ্যামলী মুখ চেপে ধরে টান তে টানতে সড়কের উপর নিয়ে আসে তার মুখে চড়, কিল ঘুষি মারতে থাকে বলে জানান একই মাদ্রাসার ২য় শ্রেণির ছাত্রী মোছাঃ হালিমা খাতুন (৮)।

একই গ্রামের আব্দুর রহমান জানান. আমি বিচুলি গাদার উপর ছিলাম তখন রুবিনা শ্যামলীকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে, কিছুদূর যাওয়ার পর শ্যামলী মুখে পিটে এবং মাথায় আঘাত করে,আমি সহ্য করতে না পেরে সেখানে যেয়ে মেয়েটিকে রুবিনার কাছ থেকে ছাড়িয়ে নেই। এর পর কয়েকজন ছাত্রী মেয়েটির বাসাই খবর দেই এবং মেয়েটিকে নিকটবর্তী মায়ের হাসি ক্লিনিকে ভর্তি করান,মেয়েটির অবস্থা অবনতি দেখে ডাক্তার কলারোয়া সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করার জন্য বলেন। মেয়েটিকে কলারোয়া সরকারী হাসপাতালে ২০ নং ওয়ার্ডে ১৯/১১/১৮ থেকে ২০/১১/১৮ তারিখ পর্যন্ত ভর্তি হয়ে থাকে।

উল্লেখ্য, এ ঘটনার প্রেক্ষপটে জিআর বালিকা দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আসাদুর রহমান, শিক্ষক গোলাম রসূলসহ অন্য শিক্ষকগণও সাক্ষী মোঃ আব্দুর রহিম রুবিনার বাড়িতে যান এবং তীব্র প্রতিবাদ জানান,

রুবিনার মাতা মোছাঃ রাইমা খাতুন জানান, আমার পরিবার বিএনপি করায় প্রতিবেশীরা আমাদের উপর এমন অপপ্রচার চালাচ্ছে।

শ্যামলীর পিতা মোঃ খাইরুল বাশার জানান, ইউনিয়ান চেয়ারম্যান মহাদয় কে ঘটানাটি জানালে চেয়ারম্যান সাহেব বলে শনিবার দুই পক্ষকে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে বিচার করা হবে বলে তিনি জানান।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)