কলারোয়ায় জননেতা মমতাজ আহমেদের স্মরণে আলোচনা সভা
চারণ রাজনীতিবিদ ও অবিসংবাদিত জননেতা মমতাজ আহমেদের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় বক্তারা বলেন, মমতাজ আহমেদ এক কিংবদন্তির নাম। এঁরা মৃত্যুবরণ করেন না। বেঁচে থাকেন মানুষের অন্তরে, অনুভবে ও উপলব্ধিতে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসম্প্রাদায়িক বাংলাদেশ গড়ার আজীবন স্বপ্ন ছিলো মমতাজ আহমেদের দু’চোখ জুড়ে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অন্যতম সহকর্মী হিসেবে ছায়ার মতো অবস্থান ছিলো তাঁর। তাঁর মতো নির্লোভ, সৎ রাজনীতিবিদ সহজে চোখে মেলে না। কোনো গুণবাচক শব্দই তাঁর গুণের কাছে যথেষ্ট নয়।
শনিবার উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামে মমতাজ আহমেদ মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স চত্বরে অবিসংবাদিত রাজনীতিবিদ ও শিক্ষানুরাগী জননেতা মমতাজ আহমেদের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় অতিথিবৃন্দ এ কথাগুলো বলেন। মমতাজ আহমেদ মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স’র সভাপতি অধ্যাপক এমএ ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ স্মরণ সভায় বক্তব্য দেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক কালের চিত্র সম্পাদক অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, বিশিষ্ট লেখক ও কলামিস্ট প্রফেসর আবু নসর, প্রখ্যাত সাংবাদিক সুভাষ চৌধুরী, সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ সদস্য আলহাজ্ব শেখ আমজাদ হোসেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাংগঠনিক কমান্ডার সৈয়দ আলি, উপজেলা আ’লীগের সাবেক আহবায়ক সাজেদুর রহমান খান চৌধুরী, আ”লীগ নেতা মাস্টার খায়বার হোসেন, অধ্যাপক আব্দুল মজিদ, উপজেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবুল খায়ের, কলারোয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি আজাদুর রহমান খান চৌধুরী, কলারোয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ জুলফিকারুজ্জামান জিল্লু, মমতাজ আহমেদ কৃষি কলেজের অধ্যক্ষ বিল্লাল হোসেন আবীর, সোনরাবাংলা ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মঞ্জুয়ারা খাতুন, বোয়ালিয়া হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক বদরুর রহমান, কলারোয়া শিশু ল্যাবরেটরি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ইমদাদুল হক প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন এড. কাজী আব্দুল্লাহ আল হাবির। স্মরণ সভা শেষে মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া করা হয়। উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ৩ নভেম্বর কলারোয়ার বোয়ালিয়া গ্রামের নিজ বাসভবনে বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন সাবেক গণ পরিষদ সদস্য জননেতা মমতাজ আহমেদ(৯৬)।
20
