নির্বাচনের ভয়ে সংখ্যালঘুরা
জাতীয় নির্বাচনের আগে ও পরে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন বেড়ে যায়৷ তাই এবার ডিসেম্বরে সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সংখ্যালঘুরা নিরাপত্তা চান৷ আর সেজন্য ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশ ডেকেছে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ৷রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই সমাবেশের ঘোষণা দেয়া হয়৷ সমাবেশ হবে দুপুর ১টায়, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে৷ ধর্মীয় জাতিগত সংখ্যালঘু সংগঠনগুলোর জাতীয় সমন্বয় কমিটিভুক্ত ২১টি সংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে এই মহাসমাবেশের ডাক দেয়া হয়েছে৷ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান৷
হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত সোমবার ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘সমাবেশে একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সংখ্যালঘুরা কী ভাবছে, তাদের দাবিগুলো কী এগুলোকে আমরা রাষ্ট্র, রাজনৈতিক দল ও জোট এবং সরকারের কাছে তুলে ধরবো৷”
তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচন কিন্তু আমাদের কাছে উৎসবের আমেজ নিয়ে আসে না৷ এটা আসে বিপর্যয়ের শঙ্কা নিয়ে৷ কারণ, আমরা লক্ষ্য করেছি, অতীতে ৯০-এর পরবর্তী যতগুলো নির্বাচন হয়েছে, স্থানীয় বা জাতীয় যে নির্বাচনই হোক, শুধুমাত্র ২০০৮-এর সংসদ নির্বাচন ছাড়া প্রতিটি নির্বাচনকে ঘিরে সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ শুরু হয় এবং নির্বাচনের পরও অনেক দিন ধরে তা চলে৷ সেই সময়ে আমরা প্রশাসন, রাজনৈতিক দল এবং রাষ্ট্রের একটা নির্বিকার ভূমিকা সব সময় লক্ষ্য করি৷ এ প্রেক্ষাপটকে সামনে রেখে, আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আমরা আমাদের বক্তব্য তুল ধরবো৷”
‘নির্বাচন কিন্তু আমাদের কাছে উৎসবের আমেজ নিয়ে আসে না, আসে বিপর্যয়ের শঙ্কা নিয়ে’
তিনি আরেক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘‘আমরা সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন পাশের দাবি তো তুলবোই, আর সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে দায়মুক্তি সংস্কৃতি অব্যাহত আছে৷ আমরা চাইব, সেখান থেকে রাষ্ট্র ও রাজনীতি মুক্তি পাক৷”
রবিারের সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, ‘ধর্মীয় জাতিগত সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন, হামলা কমে এলেও নির্যাতন-নিপীড়নের ধারা আজও অব্যাহত আছে৷ সারাদেশে উপাসনালয়ে আবারও আক্রমণ শুরু হয়েছে৷ আমরা এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং এসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের পাশাপাশি দায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানাই৷”