দেবহাটার পুষ্পকাটি শিশু ফারিয়ার রহস্যজনক হত্যার ঘটনায় ৬দিন অতিবাহিত: তদন্তে পুলিশ

দেবহাটার পুষ্পকাটি শিশু ফারিয়ার রহস্যজনক হত্যার ঘটনায় ৬দিন অতিবাহিত হতে চলেছে। এনিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে নানা রকমের গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে ফারিয়ার মায়ের দায়ের করা মামলায় রহস্য উৎঘাটন করতে পুলিশ মাঠে নেমেছে। জানা যায়, গত শুক্রবার ভোর ৬টায় কুলিয়া ইউনিয়নের পুষ্পকাটি গ্রামের ফরহাদ হোসেনের কন্যা ফারিয়া সুলতানা তমা(৪) কে বা কারা হত্যা করে পুকুরে ফেলে রাখে। সকালে স্থানীয়রা লাশটি ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ভাসমান অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে। পরে লাশটির ময়নাতদন্ত শেষে ঐ রাতেই পারিবারিক কবর স্থানে তার দাফন সম্পন্ন করা হয় তাকে। ঐ ঘটনায় প্রাথমিক ভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিশুর পিতা ফরহাদ হোসেন, দাদা আবু সালেক ও ফরহাদ হোসেনর মামা রজব ও আকবর এবং বন্ধু আব্দুল আলিমকে দেবহাটা থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। পরে দিন-রাত তদন্ত শেষে শনিবার দুপুরে মামলা দায়েরের পর তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পর দিন শনিবার শিশুর মা সার্জিনা বেগম বাদী হয়ে ৬জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। যার নং-১০/১১৪ তারিখ: ২২/০৯/২০১৮ ইং। এদিকে এই রহস্যজনক হত্যা কান্ডের পর থেকে এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে নানা রকম গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। কেউ বলছে যাদেরকে এই মামলায় আসামী করা হয়েছে তাদের সাথে নিহতের পরিবারের তেমন কোন দ্বন্দ্ব ছিল না। তবে এই আসামীদের দীর্ঘ দিনের দ্বন্দ্ব ছিল একই এলাকার কেয়ামদ্দীন গাজীর পুত্র মোকছেদ আলীর সাথে। মোকছেদ আলীকে সম্প্রতি একটি অস্ত্র মামলায় পুলিশ আটক করে। আর ঐ মামলায় স্বাক্ষী করা হয় বর্তমান হত্যার আসামী পুষ্পকাটি গ্রামের লিয়াকাত আলীর পুত্র রিপন সহ ৬জনকে। তবে মোকছেদ গংদের সাথে দীর্ঘ দিনের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল বলে জানান অনেকেই। এলাকাবাসী আরো জানায়, দুই পক্ষের এই দ্বন্দ্বের কারণে তৃতীয় পক্ষ এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারে। তাছাড়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই জানান, ঘটনার আগের দিন দুপুরে আলোচিত অস্ত্র মামলার আসামী মোকছেদের বাড়িতে তার ভাই কওছার আলী, আব্দুল হাকিম, ভাগনে গোলাম হোসেন, প্রতিবেশী শাহাদাৎ সহ কয়েক জনের দাওয়াত খাওয়া এবং রাত সাড়ে ৯টার দিকে আলিমের বাড়ির সামনে ওৎ পেতে দাড়িয়ে থাকার বিষয়টি অনেকটাই প্রশ্ন বিদ্ধ। তাছাড়া ঘটনার দিন সন্ধ্যা থেকে এদের মোবাইল ফোনে কাদের সাথে কথা হয়েছে ট্র্যাকিং করলে আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে বলে অনেকেরই ধারণা। এদিকে আলোচিত মোকছেদের সাথে শিশু ফারিয়া সুলতানা তমার পিতার সু-সম্পর্ক ছিল বলে জানান অনেকে। সব মিলিয়ে পুলিশ তদন্তে নামলে মামলার প্রকৃত রহস্য উৎঘাটন হতে পারে বলে মনে করেন সমাজের সচেতন মহল। এবিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মামুনুর রহমান জানান, আসামীদের গ্রেফতারে জোর চেষ্টা চলছে। অচিরেই আসামীরা গ্রেফতার হবে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)