দেবহাটায় রাশিদার মাটির ভাঁড়ের ৩ লাখ টাকা ইউপোকায়র পেটে
দেবহাটার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের আহম্মদ আলীর বাড়িতে মাটিতে ভাড়ে পুতে রাখা টাকা ইউপোকায় খাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় ভাবে অভিযোগ উঠেছে পুতে রাখা ভাঁড়ে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা ছিল। আস্কারপুর গ্রামের আহম্মদ আলীর স্ত্রী রাশিদা খাতুন জানান, আমি পেশায় একজন দিনমুজুর। শ্রমিকের কাজ করে অর্জিত অর্থের একটি অংশ সঞ্চিত করে রাখতাম আমার নিজ বাড়িতে। আমার ৪ কন্যা। স্বামী ও সন্তানদের আড়ালে আমি ভাঁড়ে টাকা রেখে মাটিতে পুঁতে রাখি। ছোট মেয়ের অপারেশনের জন্য ৩ হাজার টাকার দরকার পড়লে জামাই বাড়িতে আসলে আমি মাটি খুঁড়ে টাকা তুলতে গিয়ে দেখি মাটিতে ভরে গেছে ভাঁড়ের ভিতর। দ্রুত ভাড়টি তুলে বাহিরে এনে দেখি আমার সঞ্চিত সব টাকা ইউপোকা খেয়ে ফেলেছে। আমার সারাজীবনের সঞ্চয় ইউপোকার পেটে চলে গেলো বলতেই হাউ মাউ করে কেঁদে পড়েন তিনি। মহিলা শ্রমিকের স্বামী আহম্মদ আলী জানান, আমি জানতাম না সে এই পদ্ধতিতে টাকা রেখে দিত। আজ জানতে পারলাম উইপোকা সব টাকা সাবাড় করে দিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা আরিজুল ইসলাম জানান, তাদের কান্নার আওয়াজ শুনে ছুটে আসি। এসে ইউপোকা ও টাকার কুচানো অংশ দেখতে পায়। তবে ভাঁড়ে তার ধারনা ১০ হাজারের কম টাকা ছিল। অথচ ঐ নারীর ছোট জামাই ভাঁড়ে ২০ হাজারের বেশি টাকা ছিল বলে জানায়। এ ঘটনায় সে টাকার শোকে পাগল প্রায়।