দেবহাটায় তিন জনকে মারপিট করে দুই বস্তা ঔষধ ছিনতাইয়ের অভিযোগ পুলিশ সোর্স ইমরোজের বিরুদ্ধে
মোমিনুর রহমান দেবহাটা : দেবহাটায় কখনও পুলিশের সোর্স, কখনও বিজিবি, আবার কখনও নিজেই পুলিশ সেজে সাধারণ মানুষকে হয়রানিসহ একাধিক অপকর্ম হোতা ইমরোজ আবারও বে-পরোয়া হয়ে ওঠার অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলা কোঁড়া গ্রামের শাহাজানের দোকানের পাশ্ববর্তী বাঁশ বাগানে তিন জনকে মারপিট করে দুই বস্তা ভারতীয় ঔষধ ছিনতাই করে আতœসাৎ করেছে বলে জানান ভুক্তভূগী।স্থানীয়রা জানান,উপজেলার হাসান নামের একব্যক্তি জীবিকা নির্বাহের জন্য জীবনকে বাজি রেখে বাংলাদেশের বিভিন্ন রুগীর ব্যবস্থা পত্র নিয়ে ভরতীয় ইছামতি নদী পাড়ি দিয়ে ঔষধ নিয়ে আসে। কিন্তু বৃহস্পতিবার ঔষধ নিয়ে বাংলাদেশে আসলে কোঁড়া গ্রামের এছাক গাজীর পুত্র ইমরোজ ও তার সহযোগী একই এলাকার মৃত কালু তরফদারের পুত্র জামাত ক্যাডার, চোরাকারবারী জব্বার আলী ভনু, তার ছেলে রবিউল ইসলাম (ভোলা), বাবুর আলীর ছেলে রাজু ও খালেকের পুত্র ফারুক সহ কয়েক জন মিলে জনৈক হাসান ও তার দুই সহযোগী রাম এবং মাজিদকে ব্যাপক মারপিট করে চার বস্তা ঔষুধ ছিনিয়ে নেয় বলে জানান হাসান। যার মধ্যে সাইবেন সিরাফ, ওমিপ্রোজল, এনটেক টেবলেট, প্রারেটিন টেবলেট, নিউরোবিয়ান ইনজেকশন, ডাইক্লোফেন, জিএম মলম, বেটনোভিট, গ্লাইনাস এফ এম, এনটারকুইন্টাল, ভাইরাজ মুক্ত চোখের ড্রফ সহ বিভিন্ন ঔষধ ছিল। এসময় স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে দুই বস্থা ঔষধ ফেলে রেখে বাকি ঔষধ নিয়ে ইমরোজ ও তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়। তার বিরুদ্ধে অবৈধ পথে ভারতীয় গরু বা অন্য কোন মালামাল আসলে পুলিশ ও বিজিবির ভয় দেখিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করে প্রতিনিয়ত এমন অনেক অভিযোগ আছে ইমরোজ সহ ’তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে । এব্যাপারে ইমরোজের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন ঘটনার বিষয় অস্বীকার করেন। এবং বলেন তাকে এলাকা বাসী মারপিট করেছে। এ বিষয়ে দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ মান্নান আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনা স্থল থেকে দুই বস্তা ঔষধ উদ্ধার করা হয়েছে।তবে ইমরোন বা অন্য কারও বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ কেউ দেয়নি।