হামলার ঘটনার আসামীদের মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি

মাদক সেবনের টাকা না দেওয়ায় পিটিয়ে পা ভেঙে দেওয়ার ঘটনায় আসামীরা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি ধামকি দিচ্ছে। রাজী না হলে আরো এক পা ভেঙে দেওয়ার পাশাপাশি মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করানোরও হুমকি দিয়েছে তারা। শনিবার সকাল ১১টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার খাজরা গ্রামের মৃত জব্বার গাজীর ছেলে সাত্তার গাজী।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে সাত্তার গাজী বলেন, তার ছেলে শফিকুল ইসলাম, দু’ ভাইপো ফারুক ও হারুন একসঙ্গে মাদক সেবন করতো। ফারুক ও হারুনের কথামত ছেলে শফিকুল তার কাছে বিভিন্ন সময়ে নেশার টাকা দাবি করতো। টাকা না দিলে বাড়ির জিনিসপত্র চুরি করে বিক্রি করতো। আত্মীয় খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার ঢামসাখালি গ্রামের নুরুল গাজীর বাড়ি থেকে গরু বিক্রির ৬০ হাজার টাকা নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে গত ১৭ জুন রাত ৯টার দিকে খাজরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিছনে রাস্তার উপর তার গতিরোধ করে শফিকুল, ফারুক ও হারুন। গরু বিক্রির টাকা তাদেরকে দিতে বলে। রাজী না হওয়ায় তাকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে ও দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে ৬০ হাজার টাকা কেড়ে নেয় তারা। এ সময় তার ডান পায়ের হাড় ভেঙে যায়।ছোট ছেলে শহীদুল তাকে রক্ষায় এগিয়ে গেলে তাকেও পিটিয়ে জখম করা হয়। তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় তিনি আশাশুনি আমলী আদালতে গত ১৫ জুলাই হামলাকারী তিনজনের নাম উল্লেখ করে মামলা (সিআর-৯৯/১৮)দায়ের করেন। বিচারক আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারিরের নির্দেশ দেন। গ্রেফতারি পরোয়ানা গত ২৩ জুলাই আশাশুনি থানায় পৌঁছায়।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, মামলার খবর পেয়ে আসামী ও তাদের স্বজনরা তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে ওই তিন আসামীসহ আনিছ গাজী, গনি গাজী, রাজ্জাক সরদার ও বিপ্লব প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়িয়ে তাকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য ০১৮৭১-৩৯৭০৩৫,০১৭৮৯-২৪২৬৯৮ ও ০১৭৮১-২৯৩৪০৪ নং মোবাইল ফোনে বিভিন্ন সময়ে পা ভেঙে দিয়েছি এবার এক পা কেটে নেব বলে হুমকি দিচ্ছে। এমনকি মামলা তুলে না নিলে চেয়ারম্যানকে দিয়ে মিথ্যা মামলায় জড়ানোর হুমকি দিচ্ছে তারা। এ ঘটনায় থানা জিডি না নেওয়ায় থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার পরামর্শ মত গত শুক্রবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তার দায়েরকৃত মামলার আসামীদের গ্রেফতার ও হুমকি দাতাদের হাত থেকে রক্ষা পেতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)