সাতক্ষীরায় বিদ্যুৎ অফিসের ভোগান্তি থেকে রক্ষা পেতে চাই গৃহবধূ সেলিনা

সাতক্ষীরা ওজোপাডিকো বিদ্যুৎ বিভাগের আবাসিক প্রকৌশলী (আর ই) হাবিবুর, সহকারি প্রকৌশলী মিজানুর রহমান ও আলালের বিরুদ্ধে দীর্ঘ দিন বিদ্যুৎ বিল না পাঠিয়ে ইচ্ছামত সংযোগ বিচ্ছিন্ন, মিটার সিল না করেও একটি পত্রে কৌশলে স্বাক্ষর নেয়াসহ বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। রবিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন ভূক্তভোগি শহরের কাটিয়া এলাকার গোলাম কুদ্দুস এর স্ত্রী সেলিনা কুদ্দুস।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল তৎকালিন আর ই এর মাধ্যমে তার স্বামীর নামে বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ নেয়া হয়। সংযোগ নেয়ার দীর্ঘ ১০ মাস পর ২০১৩ সালে প্রথম বার একসাথে ৮০০ ইউনিটের বিল দেয়া হয়। বিলটি নিয়ে বিদ্যুৎ অফিসে গেলে আর ই সাহেব সেটি ফেরত নিয়ে ৪০০ ইউনিটের বিল করে দেন। পর পর দেয়া ৪০০ ইউনিটের ২টি বিলের একটিতে ১৮১৮ টাকা এবং অপরটিতে ২০২৬ টাকা দেন। এভাবে আমার বিদ্যুৎ বিল গরমিল হতে থাকলে ২০১৭ সালের ১৬ আগষ্ট একটি আবেদন করলে ২৬ সেপ্টেম্বর আব্দুল্লাহ ফারুকের নেতৃত্বে ৬/৭ জন তদন্তে আসেন। এর পর অতিরিক্ত বিল আদায়ের বিষয়ে তৎকালিন আর ই খালিদুর রহমানের কাছে গেলে তিনি কত টাকা পাবেন জানিয়ে একটি আবেদন করতে বলেন। সে অনুযায়ী গত ১ জানুয়ারী আবেদনের প্রেক্ষিতে বর্তমান আর,ই হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে ৬/৭ জন গত ৭ এপ্রিল আমার বাড়িতে যান। এসময় কোন সমস্যা নেই জানিয়ে শফি সাহেবকে সিল করতে বলে আমাকে একটি কাগজে স্বাক্ষর করতে বললে আমি সরল বিশ্বাসে ওই কাগজে স্বাক্ষর করি। এরপর আমার মিটার ১১% স্লোা উল্লেখ করে মিটার বদলানোর জন্য গত ২২ মে আমাকে একটি চিঠি দেন আর,ই। তখন বাড়িতে থাকা কাগজটি বের করে দেখি তারা আমাকে মিথ্যে বলে ওই কাগজে সহি করে নিয়েছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমাকে কিছু না জানিয়ে গত ৩ জুন আমার বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। ৪ জুন মিটার সিল করার জন্য পাওয়ার হাউজে একটি আবেদন জমা দিতে গেলে সহকারি আলাল আমার আবেদনটি গ্রহণে বাধা দেন। এসময় আর ই হাবিবুর রহমানে কাছে গেলে তিনি বলেন আপনার আবদেন নেয়া হবে না। লাইন কাটা হয়েছে। আগে টাকা পরিশোধ করেন। বিল না দিলে টাকা কিভাবে দিব জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিল দেয়া হবে এখন চলে যান। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কথামত ফের ৫ জুন অফিসে গেলে  হাবিবুর রহমান আমার সাথে অশোভন আচারন করে তার নামে মামলা করতে বলেন।

তিনি বলেন, সাতক্ষীরা ওজোপাডিকো বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অকারনে আমাকে হয়রানি করছে। বিনা নোটিশে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় রোজার সময়ে প্রচন্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছি। তিনি দ্রুত তার বাড়িতে পুনরায় বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান এবং বিদ্যুৎ অফিসের ভোগান্তি হাত থেকে রক্ষা পেয়ে যাতে আইনি সহায়তা পেতে পারেন তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকসহ বিদ্যুৎ বিভাগের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)