যে দেশে ‘গর্ভপাত’ করার পক্ষে রায় দিল ৭০ শতাংশ নাগরিক
ডি এস ডেস্ক: দিন বদলের আশা দেখতে পাচ্ছেন আয়ারল্যান্ডের গর্ভপাত বিরোধী আইনের বিরোধীরা। শুক্রবার অনুষ্ঠিত গণভোটের ফলাফল সমীক্ষা বলছে, ৭০ শতাংশ নাগরিকই চাইছেন গর্ভপাতকে আইনি স্বীকৃতি দেয়া উচিত ডাবলিনের।
আয়ারল্যান্ডের জাতীয় সম্প্রচার সংস্থা আরটিই-র তরফে প্রকাশিত ফলাফলে দাবি করা হয়েছে, ৬৯.৪ শতাংশ নাগরিক গর্ভপাতকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়ার পক্ষে রায় দিয়েছেন। বিপক্ষে ভোট পড়েছে ৩০.৬ শতাংশ। এই গণভোটে প্রায় ৩২ লক্ষ মানুষ অংশগ্রহণ করেছেন বলে জানা গেছে। এই সমীক্ষা জনমতের ভিত্তিতে করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আরটিআই।
আয়ারল্যান্ডে গর্ভপাত আইনত নিষিদ্ধ। ১৯৮৩ সালে গণভোটের মাধ্যমেই গর্ভপাতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে অষ্টম সাংবিধানিক সংশোধনী পাশ হয় দেশটিতে। কিন্তু বিভিন্ন সময় দেখা গেছে, আইনি জটিলতার ভয়ে গর্ভস্থ ভ্রুণ নষ্ট হওয়ার পরও গর্ভপাত করাতে রাজি হয়নি সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল। যার জেরে অনেকক্ষেত্রেই প্রাণহানি হয়েছে মায়ের।
ফলে গর্ভপাত সংক্রান্ত অষ্টম সাংবিধানিক আইন বাতিলে দাবিতে এর পরই রাস্তায় নামেন সে দেশের নাগরিকদের একাংশ।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, ১২ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে গর্ভপাত করানোর অনুমতি দিক সরকার। এমনকী শরীর সুস্থ থাকলে ২৪ সপ্তাহ পর্যন্তও গর্ভপাত করানো দাবি তোলেন তাঁরা। এরপর চাপে পড়েই গণভোটের আয়োজন করে সরকার।
উল্লেখ্য, অষ্টম সাংবিধান সংশোধনী অনুযায়ী, গর্ভস্থ শিশু এবং মায়ের জীবনের সমানাধিকার রয়েছে। সে দেশে গর্ভপাত করালে ১৪ বছর জেল এবং জরিমানা হতে পারে। ফলে গর্ভপাত করাতে বিদেশে যেতে হয় আয়ারল্যান্ডের নাগরিকদের। সমীক্ষা বলছে, গত তিন দশকে প্রায় দেড় লক্ষ আয়ারল্যান্ডবাসী বিদেশে গিয়ে গর্ভপাত করিয়েছেন।