শিশু সাংবাদিকদের কর্মশালায় জেলা প্রশাসক ইফতেখার হোসেন

স্টাফ রিপোর্টার:
শিক্ষার শেষ নেই, প্রশিক্ষণেরও কোনো সীমারেখা নেই। শিক্ষার পাশাপাশি সৃজনশীলতা আরেকটি অনুসঙ্গ। এই সৃজনশীলতা আসতে পারে কেবল মাত্র শিক্ষা থেকে নয়, প্রশিক্ষণ থেকেও। এজন্য প্রশিক্ষণ যে কোনো পেশার ক্ষেত্রে একটি অতি জরুরি বিষয়। শিক্ষাকে বাদ দিয়ে যেমন প্রশিক্ষণ নয়, তেমনি প্রশিক্ষণ এড়িয়ে শিক্ষার ব্যাপ্তি ঘটে না শুক্রবার সকালে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত শিশু সাংবাদিকদের পুরস্কার বিতরণী ও প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন বক্তারা। তারা বলেন প্রশিক্ষণ জীবনকে উপলব্ধি করার শিক্ষা দেয়। নিজের পেশাকে তাৎপর্যপূর্ণ করে তুলতে সহায়তা করে। প্রশিক্ষণ বিষয়বস্তুর ওপর পান্ডিত্য এনে দেয়। মেধা ও পেশার বিকাশ সাধনে প্রশিক্ষণ গুরুত্বপূর্ন অবদান রাখে। এজন্য প্রশিক্ষণ অত্যন্ত জীবনঘনিষ্ঠ বিষয়। প্রশিক্ষণকে বাদ রেখে পেশায় উন্নতি আনা কঠিন। তারা বলেন শিক্ষণ ও প্রশিক্ষণ পরস্পরের পরিপূরক।
সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেনির ছাত্রীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত একদিনের কর্মশালাটির আয়োজন করে ‘হ্যালো ডট বিডি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম’। জেলা সমন্বয়কারী সাংবাদিক শরীফুল্লাহ কায়সার সুমনের সভাপতিত্বে ও স ালনায় প্রশিক্ষণ কর্মসূচির প্রথম অধিবেশনে বিষয়বস্তুর উপর আলোকপাত করে প্রশিক্ষক হিসাবে বক্তব্য তুলে ধরেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সুভাষ চৌধুরী, সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, দৈনিক দক্ষিণের মশাল সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহি, সহযোগী প্রশিক্ষক সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের কার্য নির্বাহী কমিটির সাহিত্য সংস্কৃতি ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আমিনা বিলকিস ময়না।
প্রশিক্ষকরা কাকে বলে সংবাদ , কিভাবে লিখতে হয় সংবাদ, সংবাদে কী কী উপাদান থাকতে হয়, কিভাবে ইনট্রো লিখতে হয় তার ওপর আলোকপাত করেন। পাঠকের কাছে সংবাদটি সুখপাঠ্য হিসাবে কিভাবে উপস্থাপন করতে হয় , বানান ভুল রোধ করে সংক্ষিপ্ত পরিসরে সংবাদটি কেমন ভাবে পরিবেশন করতে হয় তার ওপরও খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে ব্যাখ্যা করেন। এর সাথে সাথে উঠে আসে সাংবাদিকতার নীতিমালা, কোনটি সংবাদ নয় এবং কেনো সংবাদ নয় সে বিষয়ও। তারা এসব বিষয় অনুসরণ করে এক একজন ভালো লেখক সাংবাদিক হয়ে উঠতে পারবেন বলেও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। প্রশিক্ষণ গ্রহনকারী শিশু সাংবাদিকদের নির্ভুল বানান ও নির্ভুল বাক্য রচনায় বাংলা একাডেমি ও সংসদ বাঙ্গালা অভিধান অনুসরন করার পরামর্শ দেন।
কর্মশালার দ্বিতীয় অধিবেশনে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন। এ সময় তিনি বলেন প্রশিক্ষণ থেকে লব্ধ জ্ঞান পেশাগত জীবনে ছড়িয়ে দিতে হবে। এতে সমাজে ভালো জিনিসের সম্প্রসারণ ঘটবে। বিকাশ ঘটবে মেধার। নিজের পেশাদারিত্বকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে প্রশিক্ষণ বারবার গ্রহন করতে হবে। এতে শিক্ষার পরিধি বাড়বে। শিক্ষার মান উন্নত হবে। কারণ শিক্ষার কোনো শেষ নেই। আর প্রশিক্ষণেরও কোনো শেষ নেই। তিনি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিশু সাংবাদিকদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। একই সাথে নতুন ব্যাচের প্রশিক্ষণ গ্রহনকারীদের উৎসাহ যুগিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন এভাবে বার বার প্রশিক্ষণ গ্রহন করলে তাদের মধ্যকার সুপ্ত প্রতিভা ফুটে উঠবে। জীবন জীবিকা সমাজ এবং সর্বোপরি রাষ্ট্রের জন্য তা হবে কল্যাণকর। এ সময় তিনি আরও নতুন ২৫ প্রশিক্ষণগ্রহনকারীকে স্বাগত জানিয়ে বলেন হাতে কলমে শিক্ষার গুরুত্বই আলাদা। তাদেরকে মনোযোগ দিয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহনের আহবান জানান তিনি।

 

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)