টুম্পা হত্যা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান ডালিম সহ তিন জামিন দিয়েছে আদালত
আশাশুনি প্রতিনিধি :
আশাশুনির খাজরায় বহুল আলোচিত টুম্পা হত্যা মামলায় খাজরা ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ¦ এস এম শাহানেওয়াজ ডালিম সহ তিনকে জামিন দিয়েছে আদালত। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হোসনে আরা আক্তার দীর্ঘ শুনানি শেষে এ রায় দেন। জামিন প্রাপ্তরা হচ্ছে, খাজরা ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা আলহাজ¦ এস এম শাহানেওয়াজ ডালিম, দূর্গাপুর গ্রামের করিম বক্সের ছেলে আনারুল ইসলাম ও গদাইপুর গ্রামের শহর আলীর ছেলে খায়রুল ইসলাম।
এদিকে খাজরা ইউপি চেয়ারম্যান ডালিম সহ তিন জনের জামিনের খবর এলাকায় পৌঁছালে মুক্তিযোদ্ধা দীনেশ মণ্ডলের নেতৃত্বে মিষ্টি বিতরণ ও আনন্দ মিছিল বের করা হয়। পরে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় বক্তারা মামলাটি মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র মূলক বলে দাবি করেন।
উল্লেখ্য ২০১৭ সালের ৯জুন রাতে আশাশুনির পিরোজপুর গ্রামের সাইফুল ইসলাম কাজলের স্ত্রী টুম্পা খাতুন ভোরে সেহেরীর সময় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়। ১০জুন টুম্পাকে উদ্ধার করে প্রথমে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পরে খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় টুম্পা। টুম্পার মৃত্যুর পর তার বাবা গোপালগঞ্জ জেলার কোটালিপাড়া উপজেলার বড়বাড়ি গ্রামের মনীন্দ্র নাথ বিশ্বাসের কোন অভিযোগ না থাকায় ময়না তদন্তের শেষে পিরোজপুর গ্রামে পারিবারিক কবর স্থানে দাফন করা হয়। কিন্তু রাজনৈতিক প্রতি হিংসার জের ধরে পিরোজপুর গ্রামের ইসমাইল সরদারের ছেলে ও চিহ্নিত কামাল ডাকাতের ভাই শহীদুল ইসলাম নিজেকে কথিত ভাই দাবি করে। পরে সে টুম্পাকে গণধর্ষণের পর গায়ে কেরোসিন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যার মিথ্যা অভিযোগ এনে স্বামী সাইফুল ইসলামকে প্রধান আসামী করে ১১জনের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ৪(১)/৯(২)/৯(৩)/৩০ ধারায় মিথ্যা মামলা করে। এর পর টুম্পার বাবা মা বাদী তাদের রক্তের কেউনা দাবি করে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ও বিজ্ঞ আদালতে এভিড এভিড করে দেন। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য আশাশুনি থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন। পুলিশ দীর্ঘ দিন তদন্তের শেষে আসামীরা দোষী না হওয়ার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এর পরও কথিত ভাই পরিচয় দাবি করে শহীদুল ইসলাম আদালতে নারাজির আবেদন করে।