এক যুগ কার্যক্রমহীন কলারোয়ার থানা ক্রীড়া সংস্থা !মুখ থুবড়ে পড়েছে ক্রীড়াঙ্গন
ইয়ারব হোসেন:
নয় বছর মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি, গত ১১ বছরে সাধারণ সভা হয়নি কলারোয়ার ক্রীড়া সংস্থায়। এক যুগ ক্রীড়া কার্যক্রম বন্ধ থাকায়, স্থবির হয়ে পড়েছে কলারোয়া থানা ক্রীড়াঙ্গন। উপজেলায় ক্রীড়া কার্যক্রম পুনরায় চালুর দাবি জানিয়েছেন বর্তমান ও সাবেক খেলোয়াড়সহ উপজেলার সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। তারা রাজনৈতিক মুক্ত, দক্ষ সংগঠক ও সাবেক খেলোয়াড়দের নিয়ে নতুন কমিটি গঠনের দাবি জানান।
জানাগেছে, ২০০৭ সালে তত্বাবধায়ক সরকার (১/১১) ক্ষমতায় থাকা কালে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (বর্তমানে যুগ্ম-সচিব) কেএম শামিমুল হক সিদ্দীককে (পদাধিকার বলে) সভাপতি ও কলারোয়া পৌরসদরের জাহিদুর রহমান খান চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট দ্বি-বার্ষিক কার্য নির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়। ২০০৯ সালে কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপে নতুন কমিটি গঠন না করে পূর্বের কমিটি বহাল রাখা হয়।
উপজেলার বর্তমান ও সাবেক ফুটবল, ক্রিকেট, ভলিবল ও এথলেটিক্স খেলোয়াড়রা জানান, দেশব্যাপী চলছে ক্রীড়া উৎসব। সরকার মাদক মুক্ত যুবসামাজ গড়তে ক্রীড়া কার্যক্রমকে বেশী গুরুত্ব দিচ্ছে অথচ কলারোয়া উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সকল কার্যক্রম দীর্ঘ এক যুগ বন্ধ রয়েছে। তারা বলেন, কলারোয়া উপজেলায় বড় দুটি খেলার মাঠ থাকলেও থানা ক্রীড়া সংস্থা এ মাঠ ব্যবহার করছে না। এসব মাঠে ক্রিকেট বা ফুটবল খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হলে উপজেলা থেকে প্রতিভাবান খেলোয়াড় তৈরি হবে। এসব খেলোয়াড়রা বলেন, বিশ্ব ও জাতীয় ক্রীড়াঙ্গনে আজ সাতক্ষীরা জেলা পরিচিত পেয়েছে সৌম্য সরকার, মুস্তাফিজুর রহমান (জাতীয় দলের ক্রিকেটার) ও কলারোয়ার আল জাবের হোসেনসহ ( জাতীয় ভলিবল দলের অধিনায়ক) একাধিক ফুটবল, ক্রিকেট, ভলিবলসহ বিভিন্ন প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের জন্য। তারা তরুণ খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণসহ সার্বিক সহযোগিতার জন্য কলারোয়া থানা ক্রীড়া সংস্থার মেয়াদ উত্তীর্ণ ব্যার্থ কমিটি বাতিল করে দক্ষ সংগঠক ও সাবেক খেলোয়াড়দের নিয়ে নতুন কমিটি গঠন করার দাবি জানান।
কলারোয়া থানা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এড. কামাল রেজা বলেন, বর্তমানে কলারোয়া থানা ক্রীড়া সংস্থা প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপের কারণে নতুন কমিটি গঠন করা হচ্ছে না। ২০০৭ সালে কমিটি গঠনের পর আজ ১১ বছর আমরা দায়িত্ব পালন করছি কিন্তু আমরা (এই কমিটি) একটি সাধারণ সভার আয়োজন করতে পারেনি। তিনি বলেন, কার্যনির্বাহী কমিটির ৪/৫টি পদ ছাড়া অন্য কেউ জানেন না তিনি কোন পদে আছেন ! ক্রীড়া সংস্থার আর্থিক বরাদ্দের বিষয়ে তিনি বলেন, আমার জানা মতে এডিবি’র মোট বরাদ্দের ৫ শতাংশ ক্রীড়া উন্নয়নে বরাদ্দ থাকে। তবে সাধারণ সভা না হওয়ায় প্রায় এক যুগের আর্থিক বিষয়ে তিনি কিছুই জানেনা বলে জানান
কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি (পদাধিকার বলে) মনিরা পারভীন সাংবাদিকদের জানান, আমি সম্প্রতি কলারোয়া উপজেলাতে যোগদান করেছি। এ বিষয়ে আমার জানা নেই, তবে তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানান।
ইয়ারব হোসেন
Please follow and like us: