সর্দি-কাশিসহ শ্বাসকষ্ট থেকে মুহূর্তেই মুক্তি মিলবে এই পাতায়!

প্রাচীনকাল থেকেই রোগমুক্তির ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রেখেছে বাসক পাতা। শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে এই পাতা বেশ কার্যকরী।

বর্তমানে কোভিড-১৯সহ মৌসুমী জ্বর, ঠাণ্ডা, কাশি, বুকে কফ জমাসহ শ্বাসকষ্ট অনেকেই ভুগছেন। তাই বিভিন্ন ওষুধের চেয়ে প্রাকৃতিক এই উপাদানে ভরসা রাখলে এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।

বাসকের তাজা বা শুকানো পাতায় রয়েছে ওষুধি গুণ। বাসক পাতায় ভাসিসিন নামক ক্ষারীয় পদার্থ এবং তেল থাকে। শ্বাসনালীর লালাগ্রন্থিকে সক্রিয় করে বলে বাসক শ্লেষ্মানাশক হিসেবে প্রসিদ্ধ। বাসক পাতার নির্যাস, রস বা সিরাপ শ্লেষ্মা তরল করে থাকে।

সর্দি, কাশি এবং শ্বাসনালির প্রদাহমূলক ব্যাধিতে বিশেষ উপকারী। বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় বাসকের ভেষজ গুণাবলী প্রমাণিত হয়েছে। এর মূল, পাতা, ফুল, ছাল সবই ব্যবহার হয়। এবার তবে জেনে নিন কোন রোগ সারাতে কীভাবে বাসক পাতার রস ব্যবহার করবেন-

> এই সময় অনেকেই সর্দি-কাশির সমস্যায় ভুগছেন। তাদের জন্র বাসক পাতার রস সেরা দাওয়াই। এজন্য এক থেকে দুই চা চামচ এর সঙ্গে আধা চা চামচ মধু খেলে দুই দিনেই এর থেকে মুক্তি মিলবে।

> যদি বুকে কফ জমে থাকে এবং তার জন্য শ্বাসকষ্ট হয় তবে ভরসা রাখুন বাসক পাতায়। এই পাতার রস এক থেকে দুই চা চামচ এবং কন্টিকারী রস এক থেকে থেকে দুই চা চামচ এর সঙ্গে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে খেলে কফ সহজে বেরিয়ে আসে।

> জ্বর সারাতেও প্রাকৃতিক এই উপাদানটি বেশ কার্যকরী। জ্বর থাকলে বাসকের মূল পাঁচ থেকে ১০ গ্রাম ধুয়ে থেঁতো করে ১০০ মি.লি. লিটার পানিতে ফুটিয়ে নিন। এবার ২৫ মি.লি. লিটার থাকতে নামিয়ে তা ছেঁকে নিয়ে দিনে দুই বার পান করুন। এতে জ্বর এবং কাশি থেকে দ্রুত মুক্তি মিলবে।

তবে মনে রাখবেন, অধিক মাত্রায় বাসক পাতার রস খেলে বমি হতে পারে। এজন্য নির্দিষ্ট পরিমাপ মেনে খাওয়া জরুরি।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)