বি এন. পি নেতা নজিবুলের যত অপকর্ম

জাহিদুর রহমান শিমুল ঃ প্রশাসনের নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি সহ প্রতারনার অভিযোগ উঠেছে নজিবুল হক নামে এক প্রতারকের বিরুদ্ধে। পান থেকেই চুন খসলেই নিরিহ মানুষকে মিথ্যা মামলায় হয়রানি করে থাকেন বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। নজিবুল হক পাটকেলঘাটা থানার চৌগাছা গ্রামের মোহাম্মাদ আলীর ছেলে। একই এলাকার রওশানার এক ভুক্তভোগী জানান, তার দীর্ঘদিনের ভোগদখলীয় সম্পত্তিতে লোলুপ দৃষ্টি পড়ে নাজিবুলের।তার কথা মত সম্পত্তি বিক্রি না করার কারনে তিনি সহ তার পরিবারকে নানা ভাবে হয়রানি করে আসছেন। সম্প্রতি নজিবুল বাদী হয়ে পিতার নাম পরিবর্তন করে আদালতে ১৪৫ধারার মিথ্যা একটি মামলা করেন। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সঠিক প্রতিবেদন পাঠালে মামলাটি খারিজ হয়ে যায়।সব শেষে মিথ্যা মামলা থেকে রেহাই পেতে পুলিশ প্রশাসন সহ সংক্নিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃৃষ্টির কামনা করেছেন তিনি।স্থানীয়রা জানায়, থানা এলাকায় কোন প্রশাসনের কর্মকর্তা আসলে নাজিবুল তার সাথে কৌশালে সক্ষতা গড়ে তোলে।এরপর এলাকায় কারোর বিরুদ্ধে কোন মামলা হলে তার কাছে ছুটে যান নজিবুল। এরপর সুযোগ বুঝে তার কাছ থেকে মোটাঅংকের টাকা ঘুষ নিয়ে নানা রকম ছল চাতুরি করতে থাকেন। পরে সেই টাকা ফেরত চাইলে তাকে পড়তে হয় বিপাকে। নিজেকে আলহজ্ব পরিচয় দেওয়া নাজিবুল একজন বিএনপি দোসর।তার ক্ষমতার দাপটের কারনে ভুয়ে মুখ খুলতে সাহস পায়না বলে জানান তারা। চৌগাছা এলাকারআলামিন, মোয়াজেম, মোজাম্মেল, জিম সহ অনেক ভুক্তভোগীরা জানায়,
নাজিবুল একজন ছদ্দবেশী দালাল। তার মুল পেশা হল এলাকার নিরিহ মানুষকে জিম্মি করে টাকা পয়সা আদায় করা।বিগত২০১৩/১৪ সালে সে জামাত বিএনপি লোকদের সাথে মিশে নানা রকম অপরাধ মুলক জড়িয়ে পড়ে।এরপর নিজের অপরাধ ঢাকতে তালা এলাকার এক পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তার সাথে গড়ে তোলে সক্ষতা। এরপর থেকে নিজেকে পুলিশ কর্মকর্তার আত্মীয় পরিচয় দিয়ে দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় অপকর্ম করে বেড়াতে থাকে। ওই। সময় এলাকার অনেক নিরিহ মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়ারানি করে।সেই মামলা থেকে তাদের বাঁচাতে তাদের কাছ থেকে মোটাঅংকের অর্থ আদায় করেন। এছাড়া বর্তমানে জাল দলিল করে অন্যের জমি দখল নেওয়া সহ মিথ্যা মামলা দিয়ে নিরিহ মানুষকে ফাঁসানোই হচ্ছে তার পেশা হয়ে দাড়িয়েছে। তার এই অপকর্মের ফিরিস্তি নিয়ে বহুবার বিভিন্ন গনমাধ্যমে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে তবে অদৃশ্য কারনে তার বিরুদ্ধে কোন ব্যাবস্থা নেয়নি প্রশাসন। এমন অবস্তায় জনসার্থে এই মহা প্রতারক নাজিবুল হককে গ্রেপ্তার সহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন তারা।শেখ মাসুদ পারভেছ পলাশ নামে আরেক ভুক্তভোগী জানান, তার মায়ের নামে ক্রয়কৃত সম্পত্তিতে লেলুপ দৃষ্টি পড়ে নজিবুলের। ওই সময় ভূমি অফিসের এক অসাধু কর্মকর্তাকে দিয়ে ত্রিশ শতক জমির মধ্যে ১৫শতক জমি রের্কড করে নেয়। পরে সে আমারদের কাছে লোকপাঠিয়ে টাকা দাবী করে।দাবী মত টাকা না দেওয়ায় সে জমি দখলের চেষ্টা চালায়। এর পরে থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে সে যাত্রা দখল মুক্ত হয় আমাদের জমি।জমি দখল না করতে পরে থেকে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তালা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ নুরুল ইসলাম জানান, নাজিবুল ইসলাম নিজেকে এক বড় পুলিশ কর্মকর্তার আত্মীয় পরিচয় দিয়ে নানা অপকর্ম করে আসছে দীর্ঘদিন। সে জামায়ত বিএনপির দোসর হয়ে নানা রকম অপরাধ করেছে। বিষয়টি নিয়ে আমি বহুবার প্রশাসনকে জানিয়েছি কিন্তু অদৃশ্য কারনে তার প্রতিকার মেলেনি।
অভিযোগ অস্বীকার করে নাজিবুল হক জানান, একটি পক্ষ তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে।তার ভাল কাজে ঈর্শানিত হয়ে কিছু লোক সাংবাদিকদের ভুল তথ্য দিয়ে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করিয়েছে।মামলার প্রসঙ্গে প্রস্ন করলে তিনি বলেন, তার সপক্ষে জমিন কাগজ পত্র থাকার সুবাদে তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আদালতের দারস্থ হয়েছেন। আদালত কাগজ পত্র দেখে ন্যায় বিচার করবেন বলে তিনি আশাবাদী।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)