সাতক্ষীরায় জীবনের নিরাপত্তা ও সম্পত্তির নায্য অংশ বুঝে পাওয়ার দাবী

জীবনের নিরাপত্তা ও সম্পত্তির নায্য অংশ বুঝে পাওয়ার দাবীতে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন হোসনেয়ারা খাতুন নামের এক মহিলা। তিনি সদর উপজেলার কাশেমপুর গ্রামের আব্দুস সামাদেরমেয়ে। শনিবার (৬ জুন) দুুপুরে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে হোসনেয়ারা বলেন, আমি একটি স্কুলে চাকরি করি। আমার ভাই মোঃ কামরুজ্জামান সদর উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর হিসেবে কর্মরত আছেন।

আমার চাচা সিদ্দিক আলীর কাছে আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তির নায্য অংশ বুঝে দেওয়ার কথা বলায় তিনিসহ তাদের পরিবারের অন্যান্যরা আমাদের সাথে অসদাচরণ করতে থাকে। একপর্যায়ে গত ১ মে সন্ধ্যায় আমকে একা পেয়ে আমার চাচা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। প্রতিবাদ করলে তিনি আমার চুলের মুঠি ধরে মাটিতে ফেলে মারপিট করে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে আমার পরিবারের সদস্যরা ও প্রতিবেশিরা আমাকে উদ্ধার করে। এব্যাপারে ওই দিনেই সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি। সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, এরপর থেকে তারা আমার চাচা সিদ্দিক আলী আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। আমার চাচা বহু বিবাহের নায়ক, মামলা বাজ, এলাকায় শান্তিশৃংখলা নষ্টকারী হিসেবে পরিচিত। তুই বলতেই এলাকাবাসীকে মারধর করে। তার পুত্র সেলিম হোসেন অর্থাৎ আমার চাচাতো  ভাই, সে একজন কুখ্যাত চাঁদাবাজ হিসেবে পরিচিত। পরসম্পদ আত্মসাৎকরাসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সে বিভিন্ন পরিচয় দিয়ে ইটভাটা, বনবিভাগ থেকে শুরু করে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদা আদায় করে বলে এলাকায় প্রচার রয়েছে। সেলিম হোসেনের বাহিনীর ভয়ে এলাকায় সাধারণ মানুষ মুখখুলতে সাহস পায় না। সম্মেলনে হোসনেয়ারা বলেন, নায্য সম্পত্তি পাওনা আদায়ে একবার স্থাণীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে এলাকায় শালিসি বৈঠকে বসলেও তারা সেটি বানচাল করে দেয়। এবং প্রকাশ্যে বলে যে, সম্পত্তি নিতে চাইলে খুন করা হবে। এ বিষয়ে আমার ভাই কামরুজ্জামান বাদী হয়ে গত ১২ মে সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। ডায়েরি নম্বার ৫২৫।
এদিকে, সদর থানায় আমাদের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে বলে সাতক্ষীরার একটি পত্রিকায় পকাশিত খবরে জানতে পারি। গত ৫ জুনের ওই পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে জানতে পারি একমাস আগে নাকি সদর থানায় তাদেরবিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ে করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, সেলিম হোসেন, তার পিতা সিদ্দিক আলীসহ তাদের সহযোগিরা আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে চাকরিচ্যুত করাসহ প্রতিনিয়ত খুন জখম ও মামলা মোকদ্দমায় জড়ানোর হুমকি দিয়ে চলেছে। তাদের ভয়ে আমার ভাই কামরুজ্জামান স্বপরিবারে শহরে বাসা ভাড়া করে বসবাস করছেন। তিনি বলেন, আমরা সবাই নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। এবিষয়ে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন হোসনেয়ারা খাতুন। সংবাদ সম্মেলনে হোসরেয়ারা খাতুন, তার পিতা আব্দুস সামাদ,ভাই কামরুজ্জামান টুটুলসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)